ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, ধর্মনিরপেক্ষতার মূল নীতি অনুসরণ করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ সুনিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কল্যাণে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের স্থায়ী আমানত ২১ কোটি টাকা হতে ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত করেছে। হিন্দু তীর্থ যাত্রীদের জন্য হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ হতে অনুদান সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুই আমাদেরকে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বাংলাদেশ উপহার দিয়ে গেছেন। তিনি সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম মূলনীতি হিসেবে 'নিরপেক্ষতা' সংযোজন করে গেছেন।
ফরিদুল হক বলেন, সামনে যাতে ধর্মের দোহাই দিয়ে কেউ যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সে বিষয়ে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতৃবন্দকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাবোধই আমাদের জীবনচলার পথনকশা। বঙ্গবন্ধু আরও বেশি জানার বঙ্গবন্ধু স্টাডি সেন্টার অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সকলের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। এদেশে সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই, আমরা সংখ্যালঘু ধারণায় বিশ্বাস করি না। বাঙালি হিসেবে আমাদের সকলের অধিকার সমান।
ফরিদুল হক বলেন, আমরা হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ হতে সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি, সরকারের পক্ষ হতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
বিজ্ঞাপন
টিএই/জেবি
