শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

ডিএনসিসির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েট সিটির সমঝোতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০৫:১৬ পিএম

শেয়ার করুন:

ডিএনসিসির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েট সিটির সমঝোতা

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের ডেট্রয়েট সিটির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এর ফলে দুই সিটির মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে পারবে ডেট্রয়েট সিটি। অন্য দিকে বাংলাদেশের উত্তম কার্যক্রমগুলো শেয়ার করতে পারবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় ডেট্রয়েট সিটি ভবনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও ডেট্রয়েট সিটির মেয়র মাইকেল ই দুগান ডিএনসিসির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের ডেট্রয়েট নগরীর সিস্টার সিটির সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।


বিজ্ঞাপন


এসময় উপস্থিত ছিলেন, ডেট্রয়েট সিটির ডেপুটি মেয়র টোডা এ ব্যাটিসন (Todda A Batison), ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, বাংলাদেশ আমেরিকান পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান এহসান তাকবীম, স্যোসাল অ্যাফেয়ার্স কাউসার খান প্রমুখ।

চুক্তির আওতায় নগরের পরিচ্ছন্নতা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, ড্রেনেজসহ নগর উন্নয়নের সবগুলো সেক্টরে সহায়তা করবে ডেট্রয়েট। এর মাধ্যমে ঢাকা যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে মনে করেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

এই চুক্তি আধুনিক ঢাকা গড়তে যেমন সহায়তা করবে পাশাপাশি শুধু ডেট্রয়েটই নয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করেন তিনি। শিগগিরই ডেট্রয়েডের মেয়র বাংলাদেশ সফরে আসবেন বলেও নিশ্চিত করেছেন ডিএনসিসি মেয়র।

DNCC2


বিজ্ঞাপন


মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, 'বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি ইতিহাস সৃষ্টি হলো। যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েট সিটি এবং বাংলাদেশের ডিএনসিসির সাথে সমঝোতা সিস্টার সিটির স্বারক স্বাক্ষরিত হলো। এটি একটি যুগান্তকারী দিন। এতে প্রমাণিত হয় যুক্তেোষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক রয়েছে।'

মেয়র বলেন, 'ডেট্রয়েট মেনুফ্যাকচারিং সিটি। ঢাকাও ম্যানুফ্যাকচারিং সিটি। কাজেই এই চুক্তি আমাদের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে। সিস্টার সিটি চুক্তির অর্থ হলো তাদের ভালো দিকগুলো আমাদের দিতে চায়। আবার আমরা আমাদের ভালো দিকগুলো তাদের দিতে চাই। তারা আমাদের ভালো দিক হিসেবে উল্লেখ করেছে কীভাবে আমরা অধিক জনঘনত্বের শহরকে পরিচালিত করি। কারণ ডেট্রয়েট সিটির জনঘনত্বও বাড়ছে যা তাদের চিন্তার কারণ।'

ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, 'ডেট্রয়েট সিটির মেয়র জানিয়েছেন, এক সময় তাদেরও ক্যানেলগুলোর খারাপ অবস্থা ছিল। তাদের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অনেক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। আমরা কীভাবে তাদের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে কাজে লাগাতে পারি সে বিষয়ে কথা হয়েছে। ডেট্রয়েট সিটির মেয়র কথা দিয়েছেন তিনি ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ আসবেন। তার আগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সময় সময় কথা হবে। প্রয়োজনে তাদের বিশেষজ্ঞ দিয়ে আমাদের সহায়তা করবেন।'

ডিএইচডি/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর