সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

পিপি-জিপিদের বেতন বাড়ছে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:৪৪ পিএম

শেয়ার করুন:

পিপি-জিপিদের বেতন বাড়ছে

বর্তমানে শতভাগ সরকারি আইন কর্মকর্তা (পিপি বা জিপি) নিয়োগ করা হয় রাজনৈতিক কোটায়। তবে আগামী দিনে থেকে ৩০ শতাংশ আইন কর্মকর্তা বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হবে। বাকি ৭০ শতাংশ নিয়োগ করা হবে রাজনৈতিক কোটায়। পাশাপাশি পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও জিপিদের (সরকারি কৌঁসুলি) বেতন ভাতাও বাড়ানো হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।


বিজ্ঞাপন


মন্ত্রী বলেন, ‘পিপি ও জিপিদের (সরকারি কৌঁসুলি) বেতন ছিল ২ হাজার ও ৩ হাজার টাকা, সেটাকে আমরা এখন বাড়িয়েছি। আমার প্রস্তাব, ৬৪ জেলাকে ৩টি ভাগে- বড়, মাঝারি ও ছোট জেলায় ভাগ করে বেতন কাঠামো প্রস্তুত করা হবে। বড় জেলার পিপির বেতন হবে ৫০ হাজার টাকা, মাঝারি জেলার ৪৫ হাজার ও ছোট জেলার পিপির বেতন হবে ৪০ হাজার টাকা।’

>> আরও পড়ুন: ছয় আসনের উপনির্বাচন ঘিরে ইসির মনিটরিং সেল

এ সময় কর্মকর্তাদের সেভাবে বেতন কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Law Ministerআইনমন্ত্রী বলেন, ‘কতগুলো অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রসিকিউটর এবং অ্যাডিশনাল প্রসিকিউটর ও অ্যাডিশনাল জিপি থাকবেন সেটাও নির্ণয় করা হবে কী কী কোর্ট আছে সেটার ওপর নির্ভর করে। সে জন্য ২৬৭ কোটি টাকা আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে চেয়েছি, তারা বরাদ্দ দিতে রাজি হয়েছে। আমার মনে হয়, আগামী নির্বাচনের পরে যেই সরকারে আসুন না কেন, তারা এটা অবশ্যই বিবেচনা করবেন।’


বিজ্ঞাপন


>> আরও পড়ুন: সিভিল প্রশাসন আগের চেয়ে অনেক বন্ধুত্বপূর্ণ: সেনাপ্রধান

আমি মনে করি, তাদের একটি সম্মানজনক অবস্থানে আনার জন্য এই বেতন কাঠামো বদলানো অত্যন্ত প্রয়োজন। প্রথমবারের মতো আমরা তাদের বেতন বাড়িয়ে ১৫ হাজার ও ১২ হাজার টাকা করেছি। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

আমরা একটি ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রসিকিউশন সার্ভিস চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে ৩০ শতাংশ স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে। বাকি ৭০ শতাংশ প্রচলিত ব্যবস্থার মতো নিয়োগ দেওয়া হবে।’

>> আরও পড়ুন: দালালের খপ্পরে সর্বস্বান্ত বিদেশ গমনেচ্ছুরা, ব্যবস্থার নির্দেশ

এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন নির্বাচনের পরে হবে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব এখনই করার জন্য। জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।’

এ সময় প্রটেকশন অ্যাক্ট কন্ট্রোল করার জন্য না, বরং প্রটেক্ট করার জন্য বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট নিয়ে যখন সেমিনার হচ্ছিল তখন বলেছিলাম, এটা কন্ট্রোল করার জন্য না, প্রটেক্ট করার জন্য। সেই নীতি অনুসারে ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট হবে। সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে করা হবে।

তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ আইন প্রসঙ্গে আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এই আইনটি সংসদে নেব। যেভাবে আইন পাস হয়, ঠিক সেই প্রক্রিয়ায় হবে কিন্তু তার মানে এই নয় যে, স্টেকহোল্ডার যারা আছেন এবং ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট সম্পর্কে যাদের বক্তব্য আছে তাদের কথা শোনা হবে না।’

বিইউ/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর