শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

২৪ বছর আত্মগোপনে থাকার পর হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:৩৩ পিএম

শেয়ার করুন:

২৪ বছর আত্মগোপনে থাকার পর হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

১৯৯৮ সালের জুন মাসে যশোর জেলার কোতয়ালি থানার নরেন্দ্রপুর এলাকায় শুক্কুর আলীকে নৃসংশভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। কিন্তু এই ঘটনায় হত্যাকারীরা ছিল অধরা। দীর্ঘ দুই যুগ পর এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সোহরাব হোসেন (৪৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। তাকে গ্রেফতারের পর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারণ বেরিয়ে এসেছে।

সোহরাব হোসেন জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, মাছ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের জের ধরে শুক্কুর আলীকে হত্যা করেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


এর আগে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে সাভারের আশুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-২ এর একটি দল। সোহরাব হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি।

পরে বিকেলে রাজধানীর বসিলা এলাকায় থাকা র‌্যাব-২ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আনোয়র হোসেন খান।

র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, এই ঘটনায় গ্রেফতার সোহরাব হোসেনসহ অংশ নেন আশরাফ, রেজাউল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, খোকন ঢালী। এই ঘটনায় নিহতের পবিবার ১৯৯৮ সালের ৪ জুন কোতয়ালি হত্যায় জড়িত পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষ করে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় পাঁচ জনকে আসামি করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।  আদালতে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২০০২ সালে মামলার এক নম্বর আসামি সোহরাব হোসেন, দুই নম্বর আসামি আশরাফ এবং পাঁচ নম্বর আসামি খোকন ঢালীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে অপর দুজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। আসামিদের মধ্যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক নম্বর আসামি সোহরাব হোসেন (৪৫) মামলা দায়েরের পর থেকেই পলাতক ছিলেন।

র‌্যাব-২ অধিনায়ক বলেন, মামলার আসামি পলাতক থাকার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর আশুলিয়া এলাকা অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সোহরাব হোসেনকে গ্রেফতার করে র‌্যাবের একটি দল।


বিজ্ঞাপন


২৪ বছর পালিয়ে থেকে আত্মগোপনে!

সোহরাবের বরাত দিয়ে আনোয়র হোসেন খান জানান, শুক্কুর আলীকে হত্যার পর থেকে গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপন করে ঢাকায় চলে আসেন। প্রথমে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে চার বছর, মিরপুরে সাত বছর, তেজগাঁও  এলাকায় তিন বছর এবং সাভারের আশুলিয়া থানার জিরানী এলাকায় দীর্ঘ ১০ বছর পলাতক ছিলেন। আত্মগোপনের এই দীর্ঘ ২৪ বছরে তিনি বিভিন্ন পেশায় জড়িত ছিলেন। পুরো সময়ে তিনি নিজের নাম ঠিকানা পরিবর্তন করে ছদ্মবেশে আত্মগোপনে ছিলেন।

পলাতক থাকা অবস্থায় সোহরাব দুটি বিয়ে করেন। এরমধ্যে প্রথম স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেলে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এই ঘরেও তার একাধিক সন্তান রয়েছে।

গ্রেফতার সোহরাবের বর্তমান পেশা ছিল গাড়ি চালানো। লেগুনা, বাসসহ দেশের বিভিন্ন রুটের গণপরিবহন চালিয়ে আসছিলেন।

তাকে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

এমআইকে/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর