বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

সাইবার পুলিশ ইউনিট গঠনের প্রস্তাব

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৯ এএম

শেয়ার করুন:

সাইবার পুলিশ ইউনিট গঠনের প্রস্তাব
ফাইল ছবি

দেশে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিষয়টি ইতিবাচক হলেও সাইবার অপরাধ দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে ফেসবুক হ্যাকড, নারীদের ছবি ছড়িয়ে দিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার, টিকটিকের মাধ্যমে নানা ধরনের অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে।

এসব অপরাধ প্রতিরোধে গত কয়েক বছর ধরে ঢাকা মহানগর পুলিশ এবং পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি কাজ করে আসছে। কিন্তু তাতেও তারা হিমশিম খাচ্ছেন। এবার পুরো দেশে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সাইবার পুলিশ ইউনিট গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই ইউনিটের কাজ হবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নজরদারি বাড়ানো। তারা বিদ্বেষ ছড়ানো এবং সাম্প্রদায়িক উস্কানি বন্ধেও কাজ করবেন।


বিজ্ঞাপন


সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাইবার পুলিশ ইউনিট গঠনের প্রস্তাবটি পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সদর দফতরের একটি সূত্র জানিয়েছে। খুব শিগগির এই ইউনিটের যাত্রা শুরু হবে জানা গেছে।

বর্তমানে সাইবার অপরাধ নিয়ে পুলিশের অপরাধ তথ্য তদন্ত বিভাগ ছাড়াও ঢাকা মহানগর পুলিশে একটি শাখা রয়েছে। যারা সামাজিক মাধ্যমে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন এবং অপরাধী শনাক্ত ছাড়াও মামলা হলে তদন্ত করে। পাশাপাশি সেই অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার জন্য এই দুই ইউনিট কাজ করে।

বিশেষ করে ঢাকা নগরীর বাসিন্দারা এসব সেবা পেলেও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে থাকা মানুষজন অনেকটাই বঞ্চিত। তারা সাইবার অপরাধ নিয়ে কোনো অভিযোগ করলে সেই থানা পুলিশকে বিষয়টি নিয়ে ঢাকা পর্যন্ত আসতে হয়। ফলে ওই পুলিশ সদস্য তার বাকি কাজগুলো সময়মতো করতে পারেন না। এই ভোগান্তি দূর করতেই পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই-এর আদলে এই সাইবার ইউনিট গঠন করা হচ্ছে।

প্রতি জেলায় থাকবে এই ইউনিটের সাব অফিস। ‌ফলে ইউনিট গঠন হলে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষজনও এই সেবা পাবেন। এই সাইবার ইউনিটের যাত্রা শুরু হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধগুলো অনেকটা কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর পাশাপাশি সঠিক তদন্ত এবং অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।


বিজ্ঞাপন


বাংলাদেশ পুলিশের তথ্য বলছে, দেশে ২০১৫ সাল থেকে সাইবার অপরাধের পরিসংখ্যান রাখা হচ্ছে। সেই বছর ২৬৭ টি সাইবার অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল এর পরেরবার তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭১। কিন্তু বর্তমানে এই অপরাধ ভয়াবহ আকারে বেড়ে চলেছে। এছাড়াও সাইবার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে জঙ্গিরা বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলেও প্রমাণ পেয়েছে শৃঙ্খলা বাহিনী। সার্বিক বিষয়ে বিবেচনা করে এই ধরনের অপরাধ কমিয়ে আনতে সাইবার ইউনিট অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এমআইকে/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর