ভিক্টর পরিবহনের বাসের চাপায় রাজধানীর প্রগতি সরণি এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নাদিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে মোটরসাইকেল চালানো নাদিয়ার সেই বন্ধুকে।
রোববার (২২ জানুয়ারি) রাত পৌনে ৯টার দিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভাটারা থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান।
বিজ্ঞাপন
এর আগে রোববার দুপুর ২টা ৫ মিনিটে ওই মামলাটি করেন নিহত নাদিয়ার বাবা।
মামলার বিষয়ে ভাটারা থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান ঢাকা মেইলকে বলেন, বাসচাপায় নাদিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের বাবা একটি মামলা করেছেন। নাম উল্লেখ ছাড়া মোটরসাইকেল চালকের নামে মামলাটি করা হয়েছে। আসামি অজ্ঞাত হওয়ায় তাকে এখন পর্যন্ত আটক করা যায়নি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, নাদিয়াকে চাপা দেওয়া বাসের চালক ও হেল্পার পলাতক রয়েছে। তাদেরকেও আমরা খুঁজছি। তবে ঘাতক বাসটি জব্দ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ভাটারা থানা সূত্রে জানা গেছে, নাদিয়ার গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ এলাকায়। তবে পরিবারের সঙ্গে তিনি থাকতেন উত্তরায়। নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী নাদিয়া রোববার দুপুরে তার এক বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে যমুনা ফিউচার পার্ক এলাকায় আসছিলেন। তবে উত্তরা থেকে আসার পথে প্রগতি সারণি এলাকায় ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাস মোটরসাইকেলে থাকা নাদিয়াকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে সড়কের ওপর পড়ে গেলে একই বাসের চাকা নাদিয়ার মাথার ওপর দিয়ে চলে গেলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞাপন
এমআইকে/আইএইচ