২০১৪ সালের পর থেকে সরকারি ব্যয়ে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৯১৮ বাংলাদেশিকে হজে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। এরমধ্যে করোনা মহামারিকালে নিষেধাজ্ঞায় ২০২০ ও ২০২১ সালে বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রী পাঠানো হয়নি।
রোববার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছে প্রতিমন্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ওই অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিমন্ত্রী জানান, সর্বপ্রথম ২০১৪ সাল থেকে সরকার নির্দিষ্ট সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে ঘোষিত সর্বনিম্ন প্যাকেজমূল্যে সরকারি অর্থে হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব পাঠানোর কার্যক্রম শুরু হয়। এরমধ্যে ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনার কারণে হজে পাঠানো হয়নি।
আরও পড়ুন: দেশে এইচআইভি রোগী ৯ হাজার ৭০৮ জন
এখন পর্যন্ত সরকারি খরচে এক হাজার ৯১৮ জনকে হজে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এরমধ্যে ২০১৪ সালে ১২৫ জন, ২০১৫ সালে ২৬৮ জন, ২০১৬ সালে ২৮৩, ২০১৭ সালে ৩৩৪, ২০১৮ সালে ৩৪০, ২০১৯ সালে ৩১৪ এবং সবশেষ ২০২২ সালে ২৫৪ জনকে সরকারি ব্যয়ে হজে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
অধিবেশনে সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানের এক প্রশ্নের জবাবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাকাত ফান্ডের বর্তমান স্থিতি ৪ কোটি ৯৭ লাখ ২১ হাজার ৩২৭ টাকা।
এছাড়া সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহের এক প্রশ্নের জবাবে ফরিদুল হক খান জানান, সারাদেশের জেলা ও উপজেলায় একটি করে ‘৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় একজন ইমাম ও একজন মুয়াজ্জিনকে বর্তমানে পর্যায়ক্রমে সম্মানীর ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় এক হাজার ১২৮ জন ইমাম ও মুয়াজ্জিনের সরকারিভাবে সম্মানী দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান। পাশাপাশি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ ঢাকা, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ এবং জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ চট্টগ্রামে তিনজন খতিব ছাড়াও ছয়জন পেশ ইমামের বেতন ভাতা রাজস্ব খাতভুক্ত সরকারিভাবে দেওয়া হয়।
দেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা এক কোটি ২৫ লাখ
একই অধিবেশনে ফরিদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনজুর হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০২১ সালের পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা প্রায় এক কোটি ২৫ লাখ।
/আইএইচ
