শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

আজও দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা, গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকির শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:৩৬ এএম

শেয়ার করুন:

আজও দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা, গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকির শঙ্কা

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বা খারাপ বাতাসের শহরের তালিকায় আবারও শীর্ষে উঠে এসেছে রাজধানী ঢাকা। ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি স্কোর ৩১৫, যাকে বিপজ্জনক অবস্থা হিসেব চিহ্নিত করা হয়। ঢাকার পরেই ৩১৩ ও ২৪৫ স্কোর নিয়ে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি ও চীনের শেনইয়াং।

রোববার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোরে এ তথ্য উঠে এসেছে।


বিজ্ঞাপন


বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্টের ওপর ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম-১০ ও পিএম-২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।

বস্তুকণা পিএম-২.৫ হলো বাতাসে থাকা সব ধরনের কঠিন এবং তরল কণার সমষ্টি, যার বেশিরভাগই বিপজ্জনক। মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন— প্রাণঘাতী ক্যান্সার এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যা তৈরি করে পিএম-২.৫। এছাড়া বায়ু দূষণকারী এনও২ প্রধানত পুরোনো যানবাহন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শিল্প স্থাপনা, আবাসিক এলাকায় রান্না, তাপদাহ এবং জ্বালানি পোড়ানোর কারণে তৈরি হয়।

একিউআই অনুযায়ী স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। অন্যদিকে ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।

বাতাসের মান অনুযায়ী, ঢাকা, তাসখন্দের পর আছে চীনের সেনইয়াং শহর (২৫৪)। এরপরের ভিয়েতনামের হ্যানয় (২৪১), চীনের চেংডু (২১৩), কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেক (২০৮) ও ভারতের কলকাতা (২০১)।


বিজ্ঞাপন


অবশ্য গত সপ্তাহে ঢাকা যখন শীর্ষে ছিল তখন ভারতের দিল্লি দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল।

তথ্যমতে, প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়। একইসঙ্গে বাতাসের খারাপ। পরিস্থিতির মধ্যে কিভাবে নিরাপদে থাকা যাবে তারও পরামর্শ থাকে ওয়েবসাইটে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতিবছর সরাবিশ্বে বায়ু দূষণজনিত বিভিন্ন রোগে ৭০ লক্ষাধিক মানুষ মারা যান।

এমএইচ/বিইউ/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর