শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

যাত্রীবেশে সিএনজি ছিনতাই ছিল তাদের পেশা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:০৯ পিএম

শেয়ার করুন:

যাত্রীবেশে সিএনজি ছিনতাই ছিল তাদের পেশা

রাত হলেই তারা রাস্তায় নেমে পড়ত। এরপর সড়ক ধরে কোনো সিএনজি দাঁড়িয়ে থাকলেই টার্গেট করা হতো। এরপর যাত্রীবেশে সেই সিএনজিতে ওঠে সেই গন্তব্য আসার আগেই সিএনজি চালককে মারধর করা হতো। চালক বাধা দিলে তাকে হত্যার পর সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যেত তারা। সেই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতারের পর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

১৯ জানুয়ারি ডেমরা এলাকার সিএনজি চালক আলী হোসেনকে (৬০) হত্যার ঘটনায় শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।


বিজ্ঞাপন


শনিবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে র‌্যাব-১০ এর এএসপি এনায়েত করিম জানান, এই চক্রটি রাতের বেলায় বয়স্ক ও দুর্বল সিএনজি বা অটোরিকশা চালকদের টার্গেট করে তাদের নির্ধারিত স্থানে নিয়ে যেত। সেখানে নিয়ে সিএনজি বা অটোরিকশা চালককে মারধর, প্রয়োজনে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই করত। এছাড়া তারা এই মাসে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে একাধিক সিএনজি ছিনতাই করেছে। তারা সিএনজি ও অটোরিকশা ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বেশ কিছুদিন ধরে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় অটোরিকশা ও সিএনজি ছিনতাই করে আসছিলেন।

র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, এই চক্রের সদস্যরা প্রত্যেকে তাদের বিভিন্ন পেশার আড়ালে এই ছিনতাইয়ের কাজটি করত। ঘটনার দিন তারা সিএনজি চালক আলী হোসেনকে ক্যাবল তার দিয়ে হাত পা বেঁধে রেখেছিল। পরে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এক পর্যায় তাকে গলাটিপে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

তাদের মধ্যে গ্রেফতার লিংচাঁন ওরফে নীলচাঁন মিয়া রাজধানীর কদমতলী এলাকার ভাড়াটিয়া। তিনি এই চক্রের সদস্য। হত্যার সময় আলী হোসেনের পা বেঁধে রেখেছিলেন তিনি। গ্রেফতার আ. মান্নান ওরফে মন্নান চালককে মারধর করে তার হাত থেকে চাবি ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। পরে তাকে হত্যার পর জনতার ধাওয়া খেয়ে বাঘা ও মান্নান সেই সিএনজি চালিয়ে পালিয়ে যান। জনতার হাতে আটক হওয়া আল-আমিন সিএনজি চালক আলী হোসেন সিএনজিটি দিতে জোর জবরদস্তি করলে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে থাকেন এবং একপর্যায়ে তাকে গলাটিপে হত্যা করেন।

এমআইকে/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর