মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘিরে নানারকম শিল্পকারখানা তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ১২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল পাওয়ারের এই প্রজেক্টে ১ হাজার ২০০ জন বিদেশিসহ ১১ হাজার লোক কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) কক্সবাজারের মাতারবাড়ি (৬০০X২) ১২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল পাওয়ার প্রজেক্ট পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
বিজ্ঞাপন
পাওয়ার প্রজেক্ট পরিদর্শনকালে অন্যদের মধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক ছাড়াও প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
>> আরও পড়ুন: ‘নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিতেই গ্যাসের দাম সমন্বয়’
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, স্থানীয়দের প্রশিক্ষণের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে আধুনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হলে অত্র এলাকার অর্থনৈতিক চিত্র এবং জীবনমান পাল্টে যাবে। সেই সঙ্গে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র আধুনিক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবস্থার পথে বাংলাদেশকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে নির্মাণাধীন প্রকল্পটির কাজ ইতোমধ্যেই প্রায় ৭৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এখান থেকে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। কোভিডের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও এখানকার প্রকৌশলী ও কর্মীবৃন্দ নিরলস কাজ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
বর্তমানে সার্বিকভাবে কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক। সেই সঙ্গে সঞ্চালন লাইনের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ঘিরে প্রাথমিক জ্বালানি পরিবহণের জন্য তৈরি করা হচ্ছে নিজস্ব জেটি।
টিএই/আইএইচ

