রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

সাকরাইনে মজেছে পুরান ঢাকার তরুণরা, ফানুস নিয়ে দুঃশ্চিন্তা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৪৭ এএম

শেয়ার করুন:

সাকরাইনে মজেছে পুরান ঢাকার তরুণরা, ফানুস নিয়ে দুঃশ্চিন্তা

অন্যান্য বছরের মতো এবারও সাকরাইন উৎসবকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার বাসাবাড়ির ছাদে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। কেউ ঘুড়ি কিনে ওড়ানোর পূর্বপ্রস্তুতি সারছেন। কেউ বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে ঘুড়ি ওড়াচ্ছেন। কেউ আবার রাতভর বাসার ছাদে বিকট শব্দে গান বাজিয়ে গোটা এলাকা মাতিয়ে রাখছেন।

বাংলা পৌষ মাসের শেষ ও মাঘ মাসের শুরুতে পুরান ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দাদের অনেকে এমন উৎসব পালন করে থাকেন। দিনভর সবাই মিলে ঘুড়ি ওড়ানো ও সন্ধ্যায় আতশবাজি, রঙ-বেরঙের ফানুস ওড়ানোর মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয় সাকরাইন।


বিজ্ঞাপন


অবশ্য যারা মূলত দীর্ঘদিন ধরে এই আয়োজন করে থাকেন সেই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এটাকে বলে থাকেন পৌষসংক্রান্তি।

এদিকে ইংরেজি বর্ষবরণ, সাকরাইন উৎসবকে কেন্দ্র করে বড় দুঃশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে ফানুস ওড়ানোর ঘটনা। এছাড়া বিকট শব্দে আতশবাজি তো আছেই।

এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ জানানোর পরও কেউ যেন বিষয়টি কানে তুলছেন না।

ঘটবসতিপূর্ণ ঢাকায় আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানোর কারণে প্রতিবছরই ছোট-বড় অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। সবশেষ ইংরেজি বর্ষবরণের দিন মেট্রোরেলের বিদ্যুতের সংযোগ লাইনে ফানুস পড়া নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল। 


বিজ্ঞাপন


এ অবস্থায় দুর্ঘটনা এড়াতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছে। রাজধানীবাসী যেন ফানুস ওড়ানো ও দোকানিরা যেন ফানুস বিক্রি না করতে পারে সেই জন্য বিভিন্ন থানায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানায়, এ উৎসব উদযাপনের কয়েকদিন আগে থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছে ডিএমপি। বিশেষ করে এই রাতে যেন বিস্ফোরক দ্রব্য, আতশবাজি বা ফানুস ওড়ানো বন্ধ থাকে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এ ব্যাপারে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ফানুস ওড়ানো ও বিক্রি বন্ধে থানায় থানায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুরান ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি মার্কেটের ব্যবসায়ীদের আমরা ভালো করে বুঝিয়েছি যেন কেউ ফানুস বিক্রি করতে না পারে।

‘সাকরাইন’ কীভাবে এলো উৎসব
বাংলা পৌষ মাসের শেষে শীত মৌসুমের বার্ষিক উৎসবকে ‘সাকরাইন উৎসব’ নামে পালন করা হয়। বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ছোট-বড় সবাই মেতে ওঠে এ উৎসবে।

উৎসবটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হলেও বহু বছর ধরে পুরান ঢাকায় সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে সাকরাইন উৎসব। পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসবকে ‘পৌষ সংক্রান্তি’ বা ঘুড়ি উৎসবও বলা হয়ে থাকে।
 
সংস্কৃত শব্দ ‘সংক্রান্তি’ ঢাকাইয়া অপভ্রংশে সাকরাইন রূপ নিয়েছে। পৌষ মাসের শেষ দিনে এই সাকরাইন উৎসব আয়োজন করা হয়।

তবে বাংলা ক্যালেন্ডার ও পঞ্জিকা তারিখের সঙ্গে কিছুটা পার্থক্যের কারণে প্রতি বছর দুই দিনব্যাপী এই উৎসবটি পালন করেন পুরান ঢাকা বাসিন্দারা।

বিইউ/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর