শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ইজতেমায় ৬ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:৫৬ এএম

শেয়ার করুন:

ইজতেমায় ৬ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা

টঙ্গীর তুরাগ তীরে চলছে ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমা। ইজতেমা উপলক্ষে দেশ-বিদেশ থেকে আসা মুসল্লিদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে সার্বক্ষণিক চিকিৎসা, ওষুধপত্র সরবরাহ ও জরুরি অ্যাম্বুলেন্সের বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ লক্ষ্যে ৬টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ২৪ ঘণ্টা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

ইজতেমা ময়দানে স্বাস্থ্য বিভাগের এ বিশেষ সেবা আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।


বিজ্ঞাপন


স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের সার্বক্ষণিক চিকিৎসা, ওষুধপত্র সরবরাহ ও জরুরি অ্যাম্বুলেন্সের বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের নেতৃত্বে ছয়টি কেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে তুরাগ নদীর উত্তর পাশে আর রেড ক্রিসেন্টের সহায়তায় দক্ষিণ পাশে চিকিৎসাকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।

অস্থায়ী ছয়টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মধ্যে হোন্ডাগেট একটি, বাটা গেট একটি, মন্নুগেট একটি, তুরাগ নদীর পশ্চিম তীরে দুইটি ও বিদেশি মেহমানদের জন্য একটি। এ ছাড়া বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র হিসেবে রয়েছে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল।

করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বিবেচনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের কোভিড পরীক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে ইজতেমা ময়দানে। এ লক্ষ্যে অলিম্পিয়া স্কুল মাঠে আলাদা ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে রয়েছে এন্টিজেন পরীক্ষা, নমুনা সংগ্রহ, টিকা প্রদানের ব্যবস্থা।

প্রতিটা চিকিৎসা কেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা কাজ চালু রাখতে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য তিনটি শিফট করা হয়েছে। প্রতি শিফটে দুইজন চিকিৎসক, দুইজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার/ফার্মাসিস্ট, একজন সহায়কসহ মোট পাঁচজন কাজ করছেন। এ ছাড়া শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ (কনসালটেন্ট হৃদরোগ, মেডিসিন, অ্যানেস্থেসিয়া, চক্ষু, ট্রমা এন্ড অর্থো সার্জারি, বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি, বক্ষব্যাধি) নার্স ও সহায়ক স্টাফগণ সার্বক্ষণিক দায়িত্বে রয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে প্রতিটি চিকিৎসাকেন্দ্রের জন্য চাহিদা মাফিক ওষুধপত্র ও অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জামাদি ক্রয় ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ইডিসিএল হতে ৪৭টি আইটেম ওষুধ, ১৯টি আইটেম কোটেশনের মাধ্যমে, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা হতে আটটি আইটেম ওষুধ সংগ্রহ করে কেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়েছে।

ইসলামি সম্মেলনটিতে আসা গুরুতর রোগী বহনের জন্য ইজতেমা ময়দানে ১৪টি অ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক অবস্থানে রয়েছে। প্রয়োজনে টঙ্গি বা বিশেষায়িত হাসপাতালের রেফার্ডকৃত রোগী পৌঁছে দিবে যেকোনও মুহূর্তে। রোগী রেফার্ডের সময় প্রতিটি অ্যাম্বুলেন্স থাকছেন একজন চিকিৎসক,প্যরামেডিক্স এবং প্রয়োজনীয় জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও সরঞ্জামাদি।

এ ছাড়া খাদ্য নিরাপত্তা ও অন্যান্য পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার জন্য ২৫ জন স্যানিটারি ইন্সপেক্টর কাজ করছেন। অস্থায়ী চিকিৎসাকেন্দ্রে কর্তব্যরত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে-কর্তব্যরত সকলের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণে রেজিস্টার ও মেডিসিন রেজিস্টার সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সকলের জন্য সম্মানীর ব্যবস্থাসহ, গাজীপুরের মেয়রের উদ্যোগে খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া চিকিৎসকদের আবাসন হিসেবে শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের ১৮টি কেবিন সাময়িকভাবে ব্যবহার হচ্ছে।

এ ছাড়া ইতোমধ্যে বিশ্ব ইজতেমার ময়দান বা টঙ্গি হাসপাতাল থেকে পাঠানো রোগীদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য সকল হাসপাতাল পরিচালকদের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ইজতেমা ময়দান সংলগ্ন যে সকল বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে তাদের রক্ত সংগ্রহ ও সঞ্চালনের ব্যবস্থাসহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিনামূল্যে জরুরি চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েও চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগ ছাড়াও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের অফিসে একটি, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে একটি, রেডক্রিসেন্ট, আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম ও ইসলামি ফাউন্ডেশনের একটিসহ সর্বমোট ১০টি মেডিকেল টিম ইজতেমায় সেবা প্রদান করছে।

এমএইচ/একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর