সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

কনকনে শীতে ওরাও কাঁপছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৪১ এএম

শেয়ার করুন:

কনকনে শীতে ওরাও কাঁপছে
ছবি: ঢাকা মেইল

গত চার দিন ধরে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে সারাদেশ। তাপমাত্রার পারদ নামছে। সারাদিন সূর্যের দেখা নেই। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামীকালও শীতের দাপট অব্যাহত থাকবে। এমন বাস্তবতায় পৌষের শেষার্ধে কনকনে ঠাণ্ডায় শীতার্ত হয়ে পড়েছে প্রাণীরা। 

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) ও বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সরেজমিনে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জাতীয় চিড়িয়াখানার প্রাণীদের এমন অবস্থা দেখা যায়। এসময় দেখা যায়, শীতে জবুথবু হয়ে পড়ছে ঢাকা চিড়িয়াখানার প্রাণীরা। কাঁপতে দেখা যায় চিড়িয়াখানার হিংস্র পশুসহ অন্যান্য পশুপাখিদেরও। তারা জড়সড় হয়ে থাকছে নির্ধারিত খাঁচায়।


বিজ্ঞাপন


zoo

পশুপ্রেমীরা বলছেন, বনের পশুদের মতো দৌড়ঝাঁপ করে শীত তাড়ানোর উপায় নেই চিড়িয়াখানার প্রাণীদের। তীব্র শীত কিংবা গরমেও প্রাণীদের থাকতে হয় নির্ধারিত খাঁচায়। এসময় প্রাণীদের শীত নিবারনে খড় ও চটের বস্তা ছাড়া কিছুই দিতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। যা দিয়ে এমন হাড়কাঁপুনি শীত থেকে রক্ষা পেতে পারে না। শীতের কামড়ে চরম অসহায় দিন কাটছে বন্দি প্রাণীদের।

সরেজমিনে চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি খাঁচার ভেতরে পশুপাখি জড়সড় হয়ে বসে আছে। হিংস্র বাঘটিও খাঁচার কুঁজ হয়ে আছেন। শীতে কাতর বাঘ ক্ষাণিক সময় পর উঁকি দিচ্ছে আকাশে রোদের খোঁজে। অন্যদিকে বানরসহ অন্যান্য প্রাণী খাঁচার কোনায় চুপিসারে বসে আছে। সবচেয়ে অসহায় অবস্থায় দেখা গেছে পাখিদের।

zoo


বিজ্ঞাপন


শীতে চিড়িয়াখানার প্রাণীদের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে চিড়িয়াখানার বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার তথ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়ালিউর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, শীতের প্রভাবে কিছুটা দর্শনার্থী কমেছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীও বাড়ে। শীতে প্রাণীদের নিরাপত্তার চটসহ খড়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার প্রাণী স্বাস্থ্য শাখায় (এল/আর) নিয়োজিত ডা. নাজমুল হুদা ঢাকা মেইলকে বলেন, শীত ঘিরে আমরা প্রাণীদের স্বাস্থ্য বিবেচনায় বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছি। শীতে বাড়তি যত্নের পাশাপাশি নেওয়া দেওয়া হচ্ছে নানা ভিটামিন ওষুধ। 

zoo

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার প্রাণী পুষ্টি কর্মকর্তা এম এ জলিল ঢাকা মেইলকে বলেন, শীতে প্রাণীদের আমরা খাবারেরও পরিবর্তন এনেছি। কিছু কিছু খাবার পরিমাণে বাড়ানো হয়েছে। যেমন শাখ-সবজিসহ শীতে পাওয়া যায় এমন খাবারের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। যেন এ শীতেও প্রাণীগুলো ভালো থাকে।

সার্বিক বিষয়ে জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর মো. মুজিবুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন,শীত আসার আগে থেকেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাদের প্রতিটি বিভাগ কাজ করছে। প্রাণীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরিক্ষা করা হচ্ছে।

zoo

মুজিবুর রহমান বলেন, সব প্রাণীদের ক্ষেত্রে শীতে বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন হয় না। পাখিরা কিছুটা ঝুঁকিতে থাকে। পাখির খাঁচায় পর্যাপ্ত শীত নিবারনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সাপ ও বানরের জন্য নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা।

তিনি আরও বলেন, এ বছর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি রোগ হলে ব্যবস্থা নয়, রোগ হওয়ার আগেই ব্যবস্থা নেওয়ার। সে লক্ষ্যে খাবারে পরিবর্তন, ওষুধে পরিবর্তন এবং বাসস্থানে পরিবর্তন এনেছি। যার প্রভাবে শীতে এখন পর্যন্ত একটি প্রাণীরও মৃত্যু হয়নি।

ডিএইচডি/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর