সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

শতাধিক সিসি ক্যামেরা ঘেঁটে যেভাবে শিশুটিতে উদ্ধার করল পুলিশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:০৪ পিএম

শেয়ার করুন:

শতাধিক সিসি ক্যামেরা ঘেঁটে যেভাবে শিশুটিতে উদ্ধার করল পুলিশ

২০ ডিসেম্বর। কাফরুল থানার ইব্রাহীমপুর ঈদগাঁহ রোড এলাকার একটি বাসা থেকে চুরি হয় ২৬ দিন বয়সী এক নবজাতক। কয়েকদিন আগেই ঘর আলোকিত করা সন্তানকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা-বাবা। কী করবে ভেবে পাচ্ছিল না পরিবার। দুই দিন পর কাফরুল থানায় মামলা করেও সন্তানের খোঁজ মিলছিল না। কলিজার টুকরাকে ছেলে সন্তানকে হারিয়ে রাস্তায় রাস্তায় কেঁদে বেড়ান মা। এই দৃশ্য হৃদয় ছুঁয়েছে সবাইকে। মায়ের কান্নার দৃশ্যটি এড়ায়নি পুলিশের চোখকেও। আর তাইতো নবজাতকটিকে উদ্ধারে সর্বশক্তি নিয়ে নেমে পড়ে পুলিশ। শতাধিক সিসি ক্যামেরা ঘেঁটে অবশেষে চুরি হওয়া নবজাতকটিকে ১২ দিন উদ্ধার করতে সক্ষম হয় ডিবি পুলিশ। প্রিয় সন্তানকে কোলে জড়িয়ে আপ্লুত হয়ে পড়ে শিশুটির পরিবার।

শনিবার দিবাগত রাতে উদ্ধার করা শিশুটিকে রোববার (১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ডিবি কার্যালয়ে বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেয় ডিবি পুলিশ।


বিজ্ঞাপন


ডিবি সূত্রে জানা যায়, ২০ ডিসেম্বর কাফরুল থানার একটি বাসা থেকে নবজাতকটি চুরি হওয়ার দুই দিন পর কাফরুল থানায় মানবপাচার আইনে একটি মামলা হয়। ওই ঘটনায় ছায়া তদন্ত শুরু করে ডিবি। এরপর ওই এলাকার বিভিন্ন সড়কে থাকা সিসি ক্যামেরা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শুরু করে পুলিশ। এরপর গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় শতাধিক সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে শিশুটির অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয় ডিবি মিরপুর বিভাগ। পরবর্তীতে গতরাতে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে শিশুটিকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। রোববার দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে মা ঝুমা বেগম ও বাবা জুলহাসের হাতে ২০ হাজার টাকাসহ উদ্ধারকৃত নবজাতককে তুলে দেন গোয়েন্দা পুলিশ প্রধান।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, ‘এটি একটি হৃদয়স্পর্শী ঘটনা। সন্তানকে হারানোর পর শিশুটির মা রাস্তায় রাস্তায় কেঁদে বেরিয়েছেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে শতাধিক সিসি ক্যামেরা তদন্ত শুরু করে শিশুটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। আজ শিশুটিকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি। 

শিশুটির মা জানান, শিশু সন্তান ইব্রাহিমকে বিছানায় রেখে কাজের জন্য ঘর থেকে বেরিয়ে ছিলেন তিনি। ফিরে এসে দেখেন শিশুটি বিছানায় নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সন্ধান না পেয়ে থানায় অভিযোগ দেন।

গোয়েন্দা পুলিশ প্রধান হারুন বলেন, ডিবি পুলিশ মানবিক বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে থাকে। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত ও অভিযান পরিচালনা করে পরিত্যক্ত অবস্থায় ওই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।


বিজ্ঞাপন


তিনি আরও জানান, শিশুটি চুরির ঘটনায় চোরকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

এমআইকে/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর