২০২৩ সালের মধ্যেই বাসাবাড়িতে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে: আতিক

বিগত সময়ে আমরা জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে খালে প্রাপ্ত বাসাবাড়ির পরিত্যক্ত বর্জ্যের প্রদর্শনী করেছি জানিয়ে তিনি বলেন, আমার এর পুনরাবৃত্তি চাই না। এ সময় প্রাণের শহর ঢাকার খালগুলো ডাস্টবিন বানানো যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মেয়র বলেন, ‘পয়ঃবর্জ্য নিষ্কাশনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সংযুক্ত করতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ সমস্যা সমাধান সম্ভব।’

এ সময় কর্মশালায় ১৫টি প্রতিষ্ঠানের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া প্রদর্শনী ছাড়াও প্যানেল আলোচনার মাধ্যমে আমরা আধুনিক পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানতে পারছি বলেও মন্তব্য করেন মেয়র।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপি।

নিজ বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘স্টলগুলো প্রদর্শন করে আমার মনে হয়েছে আধুনিক প্রক্রিয়ায় আমরা নিরাপদ পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করে ঢাকা শহরের পরিবেশকে রক্ষা করতে পারব।’ এ সময় যারা নিজ দায়িত্বে At Source এই পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করবে, তাদের আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আরও পড়ুন: গ্যাস-বিদ্যুতের দাম নিয়ে সুখবর দিলেন প্রতিমন্ত্রী

এর আগে কর্মশালার শেষ দিনের অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে প্রধান অতিথিকে নিয়ে স্টলগুলো পরিদর্শন করেন ডিএনসিসি মেয়র। পরে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন তারা।

সাংবাদিক মিথিলা ফারজানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্যানেল আলোচনায় অন্যদের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, ইউনিসেফের ওয়াশ বিভাগের প্রধান জাইদ জুরজি, রাজউকের চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, এফবিসিসিআই এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ডিএইচডি/আইএইচ