নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতা নাফিস সালাম উদয় (৪৫)। তার নামে তিনটি জঙ্গি মামলা ও পুলিশকে আহত করার একটি মামলাও রয়েছে। দীর্ঘ আট বছর ধরে তিনি পলাতক ছিলেন। এই দীর্ঘ সময় তিনি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। এজন্য তিনি দাড়ি-গোঁফ কেটে ভিন্ন বেশ ধারণ করেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে আত্মগোপনে থাকা সেই পলাতক জঙ্গি উদয়কে রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২ ।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, নাফিস সালাম উদয় নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতা। নিষিদ্ধ এই সংগঠনের দাওয়াতি ও অর্থ বিভাগের সক্রিয় সদস্য তিনি। পরিচয় গোপর রাখার জন্য তিনি দাড়ি-গোঁফ কেটে, লেবাস পরিবর্তন করে কামরাঙ্গীরচরে ভাঙ্গারির ব্যবসা শুরু করেন। বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে গত আট বছর ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে চলতেন এবং জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছিলেন।
ফজলুল হক জানান, তার বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানায় মোট তিনটি জঙ্গি মামলা রয়েছে। মোহাম্মদপুর থানায় পুলিশকে আহত করার একটি মামলা রয়েছে। এছাড়া আদাবর থানায় তার নামে একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
র্যাব জানায়, নাফিজ সালাম উদয় এইচএসসি পাস করে ২০০১ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়া যান এবং কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ওপর গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে ২০০৮ সালে দেশে ফেরত আসেন। বাংলাদেশে আসার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
বিজ্ঞাপন
র্যাব আরও জানায়, গ্রেফতার উদয় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্র জঙ্গিবাদী বই প্রচার ও তথা তরুণ প্রজন্মকে জঙ্গিবাদে উৎসাহিত করে আসছিলেন। তিনি হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশ শাখার আমিরের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন এবং অফলাইন ও অনলাইনের মাধ্যমে হিযবুত তাহরীর গ্রুপ লিডারদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে বিভিন্ন মসজিদে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী লিফলেট বিতরণ ও দাওয়াতি কাজ করতেন।
গ্রেফতার উদয়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে হিযবুত তাহরীরের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় র্যাব।
এমআইকে/জেবি
