কবে শেষ হবে পুরো মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ?

এক সপ্তাহ পরেই রাজধানীতে আনুষ্ঠানিকভাবে ছুটতে যাচ্ছে স্বপ্নের মেট্রোরেল। আগামী ২৮ ডিসেম্বর ঢাকার রেল যোগাযোগের এই প্রকল্পের উত্তরা-আগারগাঁও অংশের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন টিকেট কেটে প্রথম যাত্রী হিসেবে মেট্রোরেলে চড়বেন প্রধানমন্ত্রী। তবে ২৮ তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে মেট্রোরেল চালু হলেও সাধারণ যাত্রীরা এতে চলাচলের সুযোগ পাবেন উদ্বোধনের পরের দিন থেকে।

উত্তরা-আগারগাঁও রুটে ট্রেন চালু হলেও পুরো প্রকল্প শেষ হতে সময় লাগবে আরও বেশ কয়েক বছর। ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, আগামী বছরের যেকোনো সময় আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোপথও যাত্রী চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে। আর ২০৩০ সালের মধ্যে রাজধানীর বুকে প্রস্তুত হবে এমন আরও তিনটি মেট্রোরেল পথ।

সূত্র জানায়, এমআরটি লাইন-৬, ১ ও ৫ এই তিন লাইন যথাক্রমে ২০২৫ সালের জুন, ২০২৬ সালের ডিসেম্বর এবং ২০২৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে প্রকল্প কর্মকর্তারা বলছেন, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় বিলম্বের কারণে এমআরটি লাইন-১ ও ৫ এর কাজ শেষ হতে ২০৩০ সাল লেগে যাবে।

এছাড়াও উড়াল-পাতাল মিলিয়ে এমআরটি লাইন-১ এর আওতায় নির্মাণ হবে প্রায় ৩১ কিলোমিটার রেলপথ। ২০১৯ সালে এমআরটি লাইন-১ এর অনুমোদন দেওয়া হয়। লাইনটি বিমানবন্দর থেকে নতুনবাজার, কমলাপুর হয়ে পূর্বাচল পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। এটি বিমানবন্দর ও পূর্বাচল এই দুই ভাগে বিভক্ত। এছাড়া বিমাবন্দর অংশে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত রেললাইন থাকবে। এই অংশে মোট ২০ কিলোমিটার পথে পাতালে স্টেশন হবে ১২টি। বিমানবন্দর রুটই হবে বাংলাদেশের প্রথম পাতাল রেল।

আর পূর্বাচল অংশে ১১ কিলোমিটার রুট হবে নতুনবাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো। এই অংশের পুরোটাই উড়াল রেললাইন, এখানে স্টেশন হবে ৯টি। এরমধ্যে সাতটি স্টেশন উড়াল পথে আর বাকি দু’টি নদ্দা ও নতুনবাজার এলাকায় পাতাল স্টেশনের সঙ্গে মিলে থাকবে। নতুনবাজার স্টেশনে এমআরটি লাইন-৫ নর্দান রুটের সঙ্গে আন্তঃলাইন সংযোগ থাকবে। নদ্দা ও নতুন বাজার স্টেশন আন্তঃসংযোগ রুট ব্যবহার করে বিমানবন্দর রুট থেকে পূর্বাচলে যাওয়া যাবে।

২০২৮ সালের মধ্যে রাজধানীর সাভারের হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত উড়াল-পাতাল মিলিয়ে মোট ২০ কিলোমিটার মেট্রোরেল পথ নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এরমধ্যে ১৩.৫০ কিলোমিটার হবে উড়াল এবং ৭ কিলোমিটার হবে পাতাল রেলপথ। মোট ১৪টি স্টেশনের ৯টি উড়াল পথে আর ৫টি স্টেশন থাকবে পাতাল পথে। এমআরটি লাইন ৫ নর্দান রুট নামে পরিচিত এই অংশের সার্ভে কাজ চলছে এখন।