বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘মায়ের কান্না’ ও ‘মায়ের ডাক’ ইস্যু নিয়ে মুখ খুলল মার্কিন দূতাবাস

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:৫৯ এএম

শেয়ার করুন:

‘মায়ের কান্না’ ও ‘মায়ের ডাক’ ইস্যু নিয়ে মুখ খুলল মার্কিন দূতাবাস

‘মায়ের ডাক’ ও ‘মায়ের কান্না’ নামের দুই সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সাক্ষাৎ দেওয়া না দেওয়ার বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র। তার দাবি, মানবাধিকারকে গুরুত্ব দেয়। যে কারণে এমন সংগঠনগুলোর সঙ্গে সাক্ষাৎ। অন্যদিকে মায়ের ডাকের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হলেও মায়ের কান্না নামের সংগঠন কোনো যোগাযোগ করেনি বলেও দাবি করেন মুখপাত্র। বাসসের খবরে এমনটা বলা হয়েছে।

বিভিন্ন সময় ‘গুম’ ও ‘নিখোঁজ’ হওয়া বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গড়ে ওঠা সংগঠন মায়ের কান্না সদস্যদের সঙ্গে সম্প্রতি দেখা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।


বিজ্ঞাপন


একই দিনে পিটার হাসের সঙ্গে দেখা করতে একই জায়গায় ছুটে যান ‘মায়ের ডাক’ নামে আরেকটি সংগঠনের সদস্যরা। কিন্তু রাষ্ট্রদূত তাদের সঙ্গে কথা না বলে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে এ নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে নানা আলোচনা শুরু হয়। এমন অবস্থায় এবার সেদিনকার ঘটনা নিয়ে কথা বললেন ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র।

প্রসঙ্গত, ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর বিদ্রোহ দমনের নামে বিমানবাহিনীর সহস্রাধিক সদস্য গুমের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয় ‘মায়ের কান্না’ নামের সংগঠনটি। গত কয়েকবছর ধরে নানা ধরণের কর্মসূচি পালন করে আসছে।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে গত ১৪ ডিসেম্বর ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সাক্ষাৎ নিয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন নিবন্ধ ও বিবৃতির আলোকে মুখপাত্র বলেন, মার্কিন দূতাবাস এ ধরনের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের সাথে নিয়মিতভাবে বৈঠক করে থাকে।

তিনি আরও বলেন, মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে গত কয়েক বছরে ‘মায়ের কান্না’ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।


বিজ্ঞাপন


মুখপাত্র বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত ‘নিরাপত্তার কারণে’ ১৪ ডিসেম্বর মায়ের ডাক -এর তার পূর্বনির্ধারিত বৈঠক শেষ করেন।

তিনি ই-মেইলে জানান, আমরা বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় ও ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসকে অবহিত করেছি।

এদিকে ১৫ ডিসেম্বর, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন গণমাধ্যমকে জানান, মার্কিন রাষ্ট্রদূত যে পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন, তা ‘নিরাপত্তা হুমকি’ হিসেবে দেখা হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, এই ঘটনা বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না।

যদিও রাষ্ট্রদূত ঘটনার দিন নিজেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

বিইউ/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর