শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

রয়ে যাওয়া জার্সি নিয়ে বিপাকে পরশরা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:৫২ পিএম

শেয়ার করুন:

রয়ে যাওয়া জার্সি নিয়ে বিপাকে পরশরা

চার বছর পরপর বিশ্বকাপ ফুটবলের উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশেও। পছন্দের দলের জার্সি, ফুটবলে প্রিয় দেশের পতাকা কিনে টানিয়ে রাখেন ফুটবলপ্রেমীরা। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। বরং জনপ্রিয় দল ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সমর্থকরা ছিলেন বেশি উৎফুল্ল। ফলে এই দুই দলের জার্সি-পতাকা বিক্রি হয়েছে বেশি। তবে লম্বা সময় ধরে চলা বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলাকে কেন্দ্র করে বিক্রেতাদের প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি জার্সি বিক্রির। কিন্তু আশানুরূপ বিক্রি হয়নি বলে জানিয়েছেন তারা।

সাধারণত বিশ্বকাপ ফুটবলকে কেন্দ্র করে জার্সি, পতাকা বিক্রি হয়। বিশ্বকাপ শেষ হলে এগুলোর আর আবেদন থাকে না। ফলে রয়ে যাওয়া জার্সি-পতাকা বিপাকে পড়েছেন বিক্রেতারা। যদিও অর্থনৈতিক মন্দা অবস্থার মধ্যেও এবছর ভালো জার্সি বিক্রি হয়েছে বলে জানান তারা।


বিজ্ঞাপন


অবশ্য কোনো কোনো বিক্রেতা এমন আশঙ্কায় আগেভাগেই জার্সি বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।

jursy2

রাজধানীর গুলিস্তানের ফুটপাতে একাধিক দোকানে দেখা গেছে, অনেক জার্সি অবিক্রীত রয়ে গেছে। সামনের দিনে এগুলো নিয়ে কী করবেন তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলছে।

পরশ নামের একজন বিক্রেতা ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘পুরো বিশ্বকাপে কম হলেও আমরা দশ হাজার জার্সি বিক্রি করেছি। ভালো লাভও হয়েছে। কিন্তু এখন এক হাজারের মতো জার্সি রয়ে গেছে।’


বিজ্ঞাপন


এই জার্সি পরে কোথায় বিক্রি হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে এই কিশোর বলেন, ‘সামনে গরমকালে এগুলো অনেকে কিনবে। দাম একটু কমিয়ে দিলে তখন রিকশাওয়ালা, কম আয় করা মানুষ এগুলো কিনবে। আর বিক্রি না হইলে ফালাইয়া দিমু।’

পরশের ভ্যানে সবগুলো আর্জেন্টিনার জার্সি থাকলেও জানালেন ব্রাজিলের জার্সিও অনেক বিক্রি হয়েছে। তবে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পরার পর আর বিক্রি হয়নি ব্রাজিলের জার্সি।

jursy3

এদিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের ফুটপাতের জার্সি বিক্রেতা নুরুল আমিনকে দেখা গেছে শীতের গেঞ্জি বিক্রি করতে।

পাশে রাখা বক্স দেখিয়ে বললেন, এটার মধ্যে ব্রাজিলের জার্সি ভরা। শেষ দিকে আর বিক্রি হয়নি। পরে আর জার্সি বিক্রি না করে শীতের গেঞ্জি বিক্রি করছি।

বিক্রি কেমন হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, '৩০ হাজার টাকার জার্সি বিক্রি করলে ১০ হাজার টাকা লাভ করা গেছে। এবার খুব ভালো বিক্রি করছি। কম হলেও সাত থেকে আট হাজার জার্সি চলছে।'

পাশে আরেকজন জানালেন, কিছু জার্সি রয়ে গেছে। এগুলো বিক্রি হবে না সেটা ধরেই রেখেছিলেন। তবে মাসজুড়ে যে পরিমাণ বিক্রি হয়েছে তাতে ক্ষতি হবে না বলেও জানালেন এই বিক্রেতা।

বিইউ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর