মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪, ঢাকা

খুন নয়, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন: ডিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০৫:৪৯ পিএম

শেয়ার করুন:

খুন নয়, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন: ডিবি

দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনা নতুন মোড় নিয়েছে। তাকে খুন করা হয়নি বরং তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এই তথ্য জানান।  


বিজ্ঞাপন


ডিবি কর্মকর্তা জানান, আপাত দৃষ্টিতে তাদের কাছে এটি একটি আত্মহত্যা বলে মনে হয়েছে। তিনি ময়নাতদন্তকারী ডাক্তার, পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট এবং সার্বিক দিক দেখে সেটা মনে করছেন। তবে কী কারণে ফারদিন আত্মহত্যা করতে পারেন সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানাতে চাননি হারুন অর রশীদ।

এদিকে ফারদিনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কারওয়ান বাজার মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে এলিট ফোর্স।

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ.ন.ম ইমরান খান বলেন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবও আলোচিত এই মামলাটির ছায়া তদন্ত করে আসছিল। এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরবেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

গত ৫ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন। ওইদিনই রাজধানীর রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা নূর উদ্দিন। নিখোঁজের দুই দিন পর গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন নূর পরশের লাশ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। পরে লাশের ময়নাতদন্ত করা চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।


বিজ্ঞাপন


৯ নভেম্বর মধ্যরাতে নিহতের বাবা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একজনের নাম উল্লেখ করে বাকিদের অজ্ঞাত দেখিয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় ১০ নভেম্বর ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ফারদিনের মৃত্যু নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তথ্য দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে জানানো হয়, তার হত্যার পেছনে কিশোর গ্যাংয়ের হাত আছে। মাদকের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলেও গুঞ্জন উঠে। যদিও পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ফারদিন কোনো দিন সিগারেটও স্পর্শ করেননি।

এমআইকে/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর