বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

ঢামেক কর্মচারী সমিতির নির্বাচনে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

কাজী রফিক
প্রকাশিত: ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:০৪ পিএম

শেয়ার করুন:

ঢামেক কর্মচারী সমিতির নির্বাচনে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা অনুযায়ী, কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের বা রাজনৈতিক দলের কোনো অঙ্গসংগঠনের সদস্য হতে পারবেন না। অথচ ঢাকা মেডিকেল কর্মচারীদের একটি বড় অংশই রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। আবার তারা অংশ নিয়েছেন বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিতব্য ঢাকা মেডিকেল কর্মচারী সমিতির নির্বাচনেও। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ।

রাত পোহালেই অনুষ্ঠিত হয়ে যাচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কর্মচারী সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে সভাপতি পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের তিনজনই রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। রয়েছে পদ-পদবিও।


বিজ্ঞাপন


সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯-এর রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ অংশে বলা আছে, সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের বা রাজনৈতিক দলের কোনো অঙ্গসংগঠনের সদস্য হতে অথবা অন্য কোনোভাবে যুক্ত হতে পারবেন না অথবা বাংলাদেশ বা বিদেশে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে বা কোনো প্রকারের সহায়তা করতে পারবেন না।

সে নিয়মের কোনো প্রতিপালন নেই এখানে। রাজনৈতিক পদের বিষয়টি কেউ কেউ বড় করেই তুলে ধরেছেন তাদের পোস্টারে। বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি (ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ইউনিট) নির্বাচনকে ঘিরে শেষ সময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের কাছে কাছে গিয়ে ভোট চাইতে দেখা যাচ্ছে তাদের।

এই নির্বাচনে ভোটার ৯৫৩ জন। সংখ্যায় কম হলেও ভোটারদেরও আগ্রহ কম নয়। ঢাকা মেডিকেলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য কথা বলতে পারবে এমন যোগ্য সহকর্মীকেই তারা তাদের নেতা নির্বাচন করতে চান।

২৭ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটিতে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চারজন। তারা হলেন- মো. আবুল বাশার সিকদার (রিকশা), মো. আলম (ইলিশ মাছ), মো. মোয়াজ্জেম হোসেন (কাপ পিরিচ) এবং মো. রমিজ মিয়া (সাইকেল)।


বিজ্ঞাপন


 সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মো. শিপন মিয়া (ঘুড়ি) ও মো. আবদুল আজিজ (গোলাপ ফুল)।

ঢাকা মেডিকেল ঘুরে দেখা যায়, প্রার্থীদের পোস্টার আর ব্যানারে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে গিয়ে গিয়ে ভোট চাইছেন। তাদের দাবি-দাওয়া আদায়ের অঙ্গীকার করছেন। নির্বাচিত হলে ভোটারদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে কাজ করার কথাও বলছেন।

damek2

কথা হয় সভাপতি পদপ্রার্থী আবুল বাশার সিকদারের (রিকশা) সাথে। ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, 'ঢাকা মেডিকেলে আমার এবং আমার সহকর্মীদের পেশাকে একটি সন্মানজনক জায়গায় নিয়ে যেতে মূল্যবান ভোটটি চাই।’

বাশার বলেন, 'আমি বিগত দিনেও আমার সহকর্মীদের হাসি-কান্নায় পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও পাশে থাকবো। আর তারা আমাকে তাদের নেতা নির্বাচিত করলে তাদের দাবি-দাওয়া আদায়ে কাজ করবো।'

নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়ছেন রমিজ মিয়া। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকার অ্যাম্বুলেন্সের অন্যতম নিয়ন্ত্রক। প্রতি অ্যাম্বুলেন্স থেকে মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে আদায় করেন তিনি। এছাড়া হাসপাতালের নতুন বিল্ডিং এলাকার ফুটপাত তার দখলে। সেখান থেকে চাঁদা তোলেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করেন রমিজ মিয়া। তার ভাষ্য, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ তাকে হেয় করতে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এদিকে ভোটারদের মাঝে কালো টাকা ছড়ানোর অভিযোগও রয়েছে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, সভাপতি প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন ভোটারদের মাঝে চায়ের কাপের সেট বিলি করছেন।

আরেক সভাপতি প্রার্থী মো. আলম। তার বিরুদ্ধেও রয়েছে ফুটপাত থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হলেও ঢাকার তার ফ্ল্যাট রয়েছে বলেও জানা গেছে।

একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের বিরুদ্ধেও।

তবে এসব অভিযোগ জমা হয়নি নির্বাচন কমিশনার কাছে। নির্বাচন কমিশনার আশরাফুল ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো অভিযোগ নেই। কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।’

কারই/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর