যে কারণে ছাত্রলীগকে অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী

বিভিন্ন সংকটকালে মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় ছাত্রলীগকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনটিকে এই অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগ। আমাদের নেতাকর্মীরাও দাঁড়িয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের লোকও পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে রাজনৈতিক দল হিসেবে করোনাভাইরাসে যারা আক্রান্ত তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগ। অক্সিজেন নিয়ে ছুটে গেছে, লাশ নিয়ে দাফন করে দিয়েছে। এটি হচ্ছে মানবতার জন্য কাজ করা। ঠিক তারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এজন্য ছাত্রলীগকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিলেটে বন্যা হলো সেখানেও পাশে থেকেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সেখানে সেনাবাহিনী নৌবাহিনী কাজ করছে। সেই দুর্গম এলাকাতেও ত্রাণ নিয়ে ছুটে গেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

করোনাকালে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘দারিদ্রের হার ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছি। কোভিডের সময় বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছি। অনেক ধনী দেশ কিন্তু বিনা পয়সায় দেয়নি। কোভিড টেস্টে অনেকে টাকা নিয়েছে আমরা নেইনি। কোভিডের সময় মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য ৩৫ লাখ মানুষকে টাকা দিয়েছি। গ্রামে গ্রামে যাতে অর্থের সরবরাহ হয় সে ব্যবস্থা নিয়েছি। শ্রমিকদের বেতন মোবইলে পৌঁছে দিয়েছি। কৃষকদের সর্বাত্মক প্রণোদনা দিয়েছি।’

‘করোনায় সমস্যা দেখা দিল। একজায়গা থেকে অন্য জায়গা যাওয়া যায় না। ছাত্রলীগকে বললাম কৃষকদের ধান কেটে দিতে। বলার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রলীগ চলে গেলে। তাদের দেখাদেখি কৃষকলীগ, যুবলীগসহ অন্যরাও গেল। কিন্তু অগ্রগামী কিন্তু ছাত্রলীগই। ছাত্রলীগ সবসময়ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।’-বলেন প্রধানমন্ত্রী।