বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

জমজমাট এসএমই মেলা, শেষ মুহূর্তে বেড়েছে বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ০৭:৪৯ পিএম

শেয়ার করুন:

জমজমাট এসএমই মেলা, শেষ মুহূর্তে বেড়েছে বিক্রি

শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) পণ্য মেলা। ১০ দিনব্যাপী এই মেলার বাকি আছে মাত্র দু’দিন। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, নানা বয়সী মানুষের উপচে পড়া ভিড়। কেউ কিনছেন, কেউ ঘুরে দেখছেন।

এবারের মেলায় ৩৫১টি স্টলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা তাদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করছে। জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় অংশ নেওয়া ৩২৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি থাকছে ফ্যাশনশিল্পের ১৩০টি। 


বিজ্ঞাপন


এছাড়া রয়েছে খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ৪৫টি, হস্ত ও কারু শিল্পের ৩৮, চামড়াজাত পণ্য খাতের ৩৬, পাটজাত পণ্যের ৩৫, তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ও সেবা খাতের আট, হালকা শিল্প পণ্য খাতের ছয়টি, প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি প্রতিষ্ঠান।

মেলায় অংশ নেওয়া উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, শেষ মুহূর্তে ভিড় যেমন বেড়েছে বিক্রিও বেড়েছে। শেষ দু’দিন শুক্র শনিবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ার আর মানুষের উপস্থিতি বাড়বে। আর সে কারণে শেষের দু’দিন ভালো বিক্রি হবে মনে করছেন বিক্রেতারা।

মেলায় আসা আসফিয়া জানান, হাতের কাজের পোষাকসহ গৃহের প্রয়োজনীয় পণ্য কিনেছেন। পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে শুক্রবার বাকি জিনিস কিনবেন। 

পরিবার নিয়ে মেলায় আসা সবুজ হোসাইন ঢাকা মেইলকে বলেন, একছাদের নিচে সবই পাওয়া যাচ্ছে। বাচ্চারা মেলায় এসে খুবই খুশি, খাবারের আলাদা ব্যবস্থা রাখা আছে। সুন্দর পরিবেশ থাকায় এসেছি, কিছু কেনাকাটাও করেছি। 


বিজ্ঞাপন


গয়না বিক্রেতা কামাল বলেন, মেলায় ক্রেতাদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি। সামনের দু’দিন আরও ভালো বিক্রি হবে মনে করছি। রংপুর থেকে মেলায় স্টল দেওয়া আফসানা বলেন, আমি ফ্যাসনের যে কাপড়গুলো এসেছিলাম শেষের দিকে এসে ভালো বিক্রি হচ্ছে। আমাদের আশপাশের সকল স্টলে এখন ভালো বিক্রি।

মিরপুর বেনারসি শিল্প ক্লাস্টাড়ে শাড়ি বিক্রেতা বলেন, শুরুর কয়েকদিন মানুষ কম ছিল। যারা এসেছে দেখে চলে গেছে। এখন দেখছে কিনেও নিচ্ছে। এই মেলায় আমাদের সবার সঙ্গে একটা কনেকশন হয়।

গত ২৪ নভেম্বর এবছর মেলা উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ছয়জনকে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার দেওয়া হয়।

এবারের মেলায় দেশের ৩২৫টি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান ৩৫১টি স্টলে তাদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আছে ফ্যাশনশিল্পের প্রতিষ্ঠান। 

এছাড়া খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্য, হস্ত ও কারুশিল্প, চামড়া ও পাটজাত পণ্য, প্লাস্টিক, ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিকস ও হালকা শিল্পপণ্য ও তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ও সেবা খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে।

মেলায় আলাদা করে নজর কেড়েছে পাটজাত পণ্য। ক্রেতারাও ভিড় করে কিনেছেন পাটের তৈরি ব্যাগ, ম্যাটসহ আরও নানা কিছু। মেলায় মাটি, কাপড়, কাঠের তৈরি পুতুল আর ঘর সাজানোর নানা উপকরণ পাওয়া যাচ্ছে।

মেলার বিষয়ে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. মাসুদুর রহমান বলেছেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্যের বৈচিত্র্য ও গুণগত মান ক্রেতা-নীতিনির্ধারকদের সামনে তুলে ধরতে এসএমই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে উদ্যোক্তারা লোকজ ঐতিহ্য তুলে ধরার সুযোগও পাচ্ছেন। পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্ন নীতি সহায়তা নিয়ে বেশ কয়েকটি সেমিনারেরও আয়োজন করা হয়েছে। এবার অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশ নারী এবং ৪০ শতাংশ পুরুষ। 

এসএমই উদ্যোক্তাদের পণ্যের প্রচার ও প্রসারে ২০১২ সাল থেকে জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা আয়োজন করছে এসএমই ফাউন্ডেশন। এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ৯টি এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় দুই হাজার ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা অংশ নিয়েছেন। জাতীয় পর্যায়ে মেলার পাশাপাশি বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়েও এসএমই পণ্য মেলা আয়োজন করা হয়।

ডব্লিউএইচ/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর