শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

সহায়তায় ভাটা, রোহিঙ্গাদের দক্ষতা বিকাশে নজর দেওয়ার তাগিদ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:৪৮ এএম

শেয়ার করুন:

সহায়তায় ভাটা, রোহিঙ্গাদের দক্ষতা বিকাশে নজর দেওয়ার তাগিদ

মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা নাগরিকদের জন্য আর্থিক সহায়তা কমে আসছে। তাই রোহিঙ্গাদের সমাজের উৎপাদনশীল অংশ করে গড়ে তুলতে তাদের দক্ষতা বিকাশে নজর দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) ‘বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকট থেকে উত্তরণ: আমাদের কি কৌশলগত পরিবর্তন দরকার?’ শীর্ষক নীতি সংলাপে (পলিসি ডায়ালগ) এসব কথা বলেন বক্তারা।


বিজ্ঞাপন


ব্র্যাক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ যৌথভাবে রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে এই সংলাপের আয়োজন করে।

সংলাপে বলা হয়, ২০১৭ সালে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আসার পর পাঁচ বছর পেরিয়ে গেছে। এখনও তাদের প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, আফগানিস্তানে মানবিক সংকটসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে বৈশ্বিক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

এ কারণে রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তা তহবিলের পরিমাণও আগের চেয়ে কমেছে। এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের দক্ষ করে গড়ে তোলার বিকল্প নেই।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে রোহিঙ্গাদের জীবনযাত্রাসহ বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর আরও অর্থায়ন দরকার। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনসংক্রান্ত ইস্যুতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।


বিজ্ঞাপন


এসময় বর্তমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়ার তাগিদ দেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, এটা সত্য যে, আমাদের দেশে অনেক সমস্যা থাকার পরও প্রধানমন্ত্রী তাদের (রোহিঙ্গাদের) আশ্রয় দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও শুরু থেকে আমাদের সমর্থন দিয়েছে। এখন তাদের প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত ইস্যুতে আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে।

সংলাপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চারটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়। এসব গবেষণাপত্রে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পরিবর্তিত চাহিদা, ২০২৩ সাল ও তার পরবর্তী সময়ে তাদের জন্য সম্ভাব্য জীবিকার মাধ্যম এবং এসব মোকাবিলায় অংশীদারদের ভূমিকা এবং অর্থের নতুন উৎসের অনুসন্ধানের বিষয়ে বলা হয়েছে।

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ বলেন, ‘আমাদের শরণার্থীদের জন্য একটি মধ্যমেয়াদী কৌশল নির্ধারণ করা উচিত। তবে একমাত্র সমাধান মিয়ানমারে তাদের টেকসই ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন।’

রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান।

বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআরের অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ সু জিন রি বলেন, ‘ষষ্ঠ বছরে এসে তহবিল হ্রাস পাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে হবে।’

সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন কানাডা হাইকমিশনের রোহিঙ্গা রিফিউজি রেসপন্সের হেড অব কো-অপারেশন বিবেক প্রকাশ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব শাব্বির আহমেদ চৌধুরী, ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মিশন পরিচালক ক্যাথরিন ডেভিস স্টিভেনস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মাকসুদ কামাল প্রমুখ।

বিইউ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর