বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বিশেষ পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম নির্ধারণ করতে পারবে সরকার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২২, ০৪:৪৭ পিএম

শেয়ার করুন:

বিশেষ পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম নির্ধারণ করতে পারবে সরকার

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসির পাশাপাশি গ্যাস-বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করতে পারবে সরকার। এজন্য বিইআরসি আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২২-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) মন্ত্রিসভার নিয়মিত সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।


বিজ্ঞাপন


সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ একটি ছোট সংশোধন নিয়ে আসা হয়েছে। বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকারই ট্যারিফ নির্ধারণ করতে পারবে। কারণ বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিইআরসির ৯০ দিন প্রয়োজন হয়।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ফুয়েলসহ অন্যান্য এনার্জি বেসরকারিভাবে আমদানির ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা নিয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সেক্ষেত্রে দুটি অপশন- বেসরকারি আমদানিকারকেরা আমদানি করে নিজেরাই বাজারে বিক্রি করলে কি বেশি বেটার হবে?

সচিব বলেন, এখন যে আইন আছে তাতে বেসরকারি আমদানিকারকেরা ক্রুড অয়েল আনবে, এনে তারা যদি রিফাইন করে। এখন তো আমাদের বিপিসি (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন) ছাড়া কেউ জ্বালানি বাজারজাত করতে পারে না। সাধারণত ক্রুড অয়েল রিফাইন করে ৪১ থেকে ৪২ শতাংশ রিফাইনড অয়েল হয়।

আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, রিফাইনড অয়েলটা তারা বিপিসির কাছে দিয়ে দিল অথবা তারা সরাসরিভাবে বাজারজাত করতে পারে কি না সেটাও দেখতে হবে। তবে যেটা করতে হবে তা হলো, ক্রুড অয়েল যারা আনবে, বিটুমিনসহ অন্যান্য যে উপজাত পণ্য আসবে এগুলো হয় তারা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করবে অথবা বাইরে রফতানি করবে।


বিজ্ঞাপন


বিইআরসি আইনের মূল্যসংক্রান্ত অধ্যায়ের ধারা ৩৪ মোতাবেক সরকারের সঙ্গে আলোচনাক্রমে প্রণীত নীতিমালা ও পদ্ধতি অনুসরণে পাইকারি ও খুচরা বিদ্যুৎ উৎপাদন, এনার্জি সঞ্চালন, মজুদকরণ, বিপণন, সরবরাহ, বিতরণ, ভোক্তা পর্যায়ের মূল্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নির্ধারণ করে থাকে।

এছাড়া এই আইনে আরও উল্লেখ রয়েছে, কমিশন লাইসেন্সি এবং অন্যান্য স্বার্থসংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে শুনানি দেওয়ার পর মূল্য নির্ধারণ করবে (উপ-ধারা (৪)। ইতোমধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস সঞ্চালন ও বিতরণ ট্যারিফ এবং বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ (খুচরা) ট্যারিফ সংক্রান্ত প্রবিধানমালা জারি হলেও পেট্রোলিয়ামজাত তথ্যাদির ট্যারিফ সংক্রান্ত কোনো প্রবিধানমালা জারি হয়নি। ফলে সরকার কর্তৃক প্রয়োজনের নিরিখে পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্যের ট্যারিফ মূল্য সমর্থন করা হয়ে থাকে। বর্ণিত প্রক্রিয়ায় মূল্য নির্ধারণে ন্যূনতম তিন মাস সময় প্রয়োজন হয়।

মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগে মন্ত্রিসভার উপস্থাপনের জন্য জ্বালানি সচিব মো. মাহবুব হোসেন যে সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছেন তাতে বলা হয়, বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে সৃষ্ট বর্তমান বাস্তবতার নিরিখে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও তেলের মূল্য সমন্বয় করা প্রয়োজন। অর্থনীতির গতিকে চলমান রাখার সঙ্গে নিয়মিত ও দ্রুততম সময়ে মূল্য সমন্বয়ের লক্ষ্যে বিইআরসির পাশাপাশি সরকারেরও ক্ষমতা সংরক্ষণের জন্য আইনটি সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩-এর ধারা ৩৪-এর উপ-ধারা (৩) সংশোধন এবং ধারা এক সন্নিবেশিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

ডব্লিউএইচ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর