বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বিচার বিলম্বের কারণে নির্যাতন মামলায় আপসে বাধ্য হন ভুক্তভোগীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২২, ০৮:২৯ এএম

শেয়ার করুন:

বিচার বিলম্বের কারণে নির্যাতন মামলায় আপসে বাধ্য হন ভুক্তভোগীরা

নারী ও শিশু নির্যাতন মামলাগুলো বিচারের বিলম্বের কারণে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আপস করা হয়। এতে নারীর স্বার্থ উপেক্ষিত হয় বলে মন্তব্য করেন জাতীয় সংসদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। নারীপক্ষ আয়োজিত ‘সহিংসতার শিকার নারীর ন্যায়বিচার প্রাপ্তি: প্রেক্ষিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তারা। সভাটি রোববার (২৭ নভেম্বর) পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়।

নারীপক্ষের সভাপতি তাসনীম আজীমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকী। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইন, বিচার এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট খোদেজা নাসরীন এমপি, ব্যারিস্টার সেলিম  আলতাফ জজ এমপি, পীর ফজলুর রহমান মেসবাহ এমপি এবং সাবেক জেলা ও দায়রা জজ জেসমীন আরা বেগম। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ওপর প্রস্তাবিত সুপারিশসহ সভায় উপস্থাপনা তুলে ধরেন অ্যাডভোকেট শাহানাজ আক্তার। সভা সঞ্চালনা করেন নারীপক্ষের প্রকল্প সম্পাদক রীনা রায়।


বিজ্ঞাপন


মেহের আফরোজ চুমকী বলেন, ‘আইনের সঠিক প্রয়োগ না থাকায় মানুষ এর সুফল পাচ্ছেন না। আবার  অনেকে মিথ্যা মামলার শিকার হন। কেউ যেন মিথ্যা মামলা করে ছেলেদের ভোগান্তিতে না ফেলেন। তিনি নারীপক্ষকে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আরো মতবিনিময় সভা করার আহ্বান জানান।

ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জজ এমপি, সরকার সুরক্ষা আইন তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে বলেন, পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। পীর মেসবাহ বলেন, নারীপক্ষের এই সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে আইন, স্বরাষ্ট্র ও মহিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে কাজ করলে সমাজে এর সুফল আসবে। অ্যাডভোকেট খোদেজা নাসরীন এমপি বলেন, ‘বর্তমান সরকার নারীবান্ধব সরকার। নারীরপক্ষের প্রস্তাবনা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়গুলো আমরা মন্ত্রণালয়ে তুলে ধরব।’

জেসমীন আরা বেগম বলেন, ‘আইন থাকা সত্ত্বেও নারীরা নির্যাতনের শিকার  হচ্ছেন। বিচারের বিলম্বিতার কারণে মামলায় আপস করতে বাধ্য হন। বর্তমান সরকার পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন করেছে। এর বাস্তবায়ন হলে নারীর ওপর সহিংসতা কমে যাবে। নারীপক্ষের প্রস্তাবনাগুলো বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে।’ তাসনীম আজীম সভার শুরুতে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বর্তমান সমাজে নারীর ওপর যে কোনো ধরনের নির্যাতন বন্ধে সবাইকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

ডব্লিউএইচ/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর