নতুন করে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেতে আগ্রহী দলগুলোর কাছ থেকে নেওয়া তথ্য যাচাই বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে নিবন্ধন পেতে আগ্রহীদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত কোনো দল টিকবে কিনা, জানা যাবে আগামী এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, নিবন্ধন আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। এ সংক্রান্ত ইসি সচিবালয়ের একটি কমিটি করা হয়েছে। তারা পর্যালোচনা করে উপস্থাপনের পর কমিশন দেখবে।
বিজ্ঞাপন
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আবেদন আহ্বান করে ইসি। জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে ৯৮টি আবেদন থেকে কয়েকটি একাধিকবার হওয়ায় বাদ দিয়ে ৯৩টি দলের আবেদন পেয়েছে বলে জানানো হয়।
এদিকে নিবন্ধন সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেছেন, ‘৯৩টি আবেদন পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে ইসির বিবেচনার জন্য উপস্থাপনের চেষ্টা চলছে। আমরা নির্ধারিত চেক লিস্টের মাধ্যমে তথ্য উপাত্ত-দলিলাদির বিষয় তুলে ধরব। কমিশন সিদ্ধান্ত দিলে পরবর্তী পদক্ষেপে যাবে।’
নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী, আবেদনে অন্তত ৯ ধরনের তথ্য পূরণ করতে হয় এবং সেই সঙ্গে ১০ ধরনের দলিলপত্রের সংযুক্তি দিতেই হবে।
বর্তমানে ইসির অধীনে ৩৯টি দল নিবন্ধিত রয়েছে। এগুলোর পাশাপাশি নতুন করে কোনো দল নিবন্ধন পেলে তারা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে।
বিজ্ঞাপন
নিবন্ধন পেতে আগ্রহী ৯৩টি আবেদনের মধ্যে শেষ পর্যন্ত কোনো দল টিকবে কি না, জানা যাবে এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে।
২০২৩ সালের শেষে বা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। তবে ভোটের ছয় মাস আগেই রোডম্যাপ অনুযায়ী নিবন্ধনের পুরো কাজ শেষ করতে চায় ইসি।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, তথ্য যাচাই বাছাই শেষে পর্যালোচনার পর কমিশনের নির্দেশনা পেলে আইন-বিধি মেনে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে একটু সময় লাগবে।
অবশ্য এবার যারা নিবন্ধন চেয়েছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগ দল অনেকটা নাম সর্বস্ব। এছাড়াও জামায়াত সংশ্লিষ্টতা আছে এমন দলও নিবন্ধন চেয়েছে। তবে জামায়াত ঘনিষ্ঠ কোনো দলকে নিবন্ধন না দিতে ইতিমধ্যে দাবি উঠেছে।
জানা গেছে, নিবন্ধন প্রত্যাশী দলগুলোর মধ্যে অনেকেই দল পরিচালনার টাকা, কেন্দ্রীয় কমিটির নাম-পদবি দিয়ে পূর্ণাঙ্গ তালিকায় সঙ্গতি নেই, গঠনতন্ত্র নেই, নিবন্ধনের ন্যূনতম শর্ত পূরণের দালিলিক প্রমাণ নেই এমন আবেদনও পেয়েছে ইসি।
কমিটির সদস্য সচিব ও ইসির উপ সচিব আব্দুল হালিম খান জানান, তিন-চার ধাপে বাছাইয়ের কাজ চলছে। দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে আবেদনপত্র ও সংযুক্ত কাগজপত্র যথাযথ রয়েছে কিনা গুছিয়ে নিচ্ছে।
যেসব দলের আবেদন অযোগ্য হবে তাও জানিয়ে দেওয়া হতে পারে এমনটা জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, বিধি অনুযায়ী সঠিকতা যাচাই, আপত্তি-নিষ্পত্তি, মাঠ পর্যায়ে তদন্ত, ত্রুটি সংশোধনে ১৫ দিন সময় দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। এরপর যোগ্য থাকলে নিবন্ধন সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হবে।
বিইউ/এমআর