পুরান ঢাকার আদালত এলাকা থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সেখানে দায়িত্বরত পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রোববার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে দুই জঙ্গিকে পুলিশের চোখে স্প্রে ও কিলঘুষি মেরে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হওয়ার পর এই পাঁচ পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা পুলিশ সদস্যরা হলেন- সিএমএম আদালতের হাজতখানার কোর্ট ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান, হাজতখানার ইনর্চাজ (এসআই) নাহিদুর রহমান ভুইয়া, আসামিদের আদালতে নেওয়ার দায়িত্বরত পুলিশের এটিএসআই মহিউদ্দিন, কনেস্টেবল শরিফ হাসান ও আব্দুস সাত্তার।
>> আরও পড়ুন: পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিলে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার
তিনি বলেন, আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে, প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে।
বিজ্ঞাপন
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে সাগর ওরফে বড় ভাই ওরফে মেজর জিয়ার (চাকরিচ্যুত মেজর) পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় আয়মান ওরফে মশিউর রহমান (৩৭), সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক (২৪), তানভীর ওরফে সামশেদ মিয়া ওরফে সাইফুল ওরফে তুষার বিশ্বাস (২৬), রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ ওরফে সুমন (২৬) ও মো. ওমর ফারুক ওরফে নোমান ওরফে আলী ওরফে সাদ (২৮) পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে।
এদিকে জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ইতোমধ্যে রেডএলার্ট জারি করা হয়েছে। জঙ্গিদের ধরিয়ে দিতে পারলে দশ লাখ করে মোট ২০ লাখ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে। সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বিইউ/এএস
