শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

এলডিসি উত্তরণের পর ৯০ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০২২, ০৯:২২ পিএম

শেয়ার করুন:

এলডিসি উত্তরণের পর ৯০ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ

স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পর বাংলাদেশ অন্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটি বলছে, শুল্কমুক্ত সুবিধা উঠে যাওয়ার কারণে এলডিসি থেকে উত্তরণ হওয়া দেশগুলোর যে পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হবে, তার ৯০ শতাংশ ক্ষতি হবে শুধু বাংলাদেশেরই।

রোববার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ডব্লিউটিও-এমসি ১২ আউটকামস নেক্সট স্টেপস ফর বাংলাদেশ অ্যাজ এ গ্র্যাজুয়েটিং এলডিসি’ শীর্ষক এক সংলাপে বক্তারা এ কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


সংলাপে সিপিডি ফেলো অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর অনেক সুবিধাই হারাতে হবে। শুল্কমুক্ত সুবিধা উঠে যাওয়ার কারণে এলডিসি থেকে উত্তরণ হওয়া দেশগুলোর যে পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হবে, তার ৯০ শতাংশ ক্ষতি হবে শুধু বাংলাদেশেরই। এ কারণে রফতানি কর্মক্ষমতা টেকসই এবং উন্নত করতে হলে পছন্দ-চালিত প্রতিযোগিতা থেকে দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতা-চালিত প্রতিযোগিতায় স্থানান্তরিত হতে হবে।

>> আরও পড়ুন: এলডিসি উত্তরণে নরওয়ের সমর্থন চায় ঢাকা

বিশ্বের ধনী দেশগুলোর অবহেলার কারণে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়া (গ্র্যাজুয়েশন) দেশগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে জানিয়ে তিনি বলেন, গত জুন মাসে জেনেভায় অনুষ্ঠিত ১২তম বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা মন্ত্রিসভা সম্মেলনেও স্বল্পোন্নত দেশের উত্থাপিত বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়নি। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর দাবিগুলো ডব্লিউটিও এমসি ১২ এ উপেক্ষিত হয়েছে। সম্মেলনে উন্নত ও ধনী দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডাগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

সংলাপে অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধান এজেন্ডা এলডিসি গ্র্যাজুয়েট। এর আগে গ্র্যাজুয়েশন পাওয়া ৬টি দেশের বেশিরভাগই ছোট অর্থনীতির। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যারা সর্বাধিক সুবিধা নিতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু এলডিসি উত্তরণের পর অনেক সুবিধাই হারাতে হবে।’


বিজ্ঞাপন


>> আরও পড়ুন: ডব্লিউটিওতে দেওয়া শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা চায় বাংলাদেশ

অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ফোরামে বাংলাদেশের স্বার্থ একচেটিয়াভাবে আলোচনা ও সুরক্ষিত করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি পৃথক এবং নিবেদিত সেল গঠন করা উচিত।’

এ সময় সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘যেসব দেশ আগে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন হয়েছে, তারা জনসংখ্যা ও অর্থনীতির আকারের দিক থেকে ছোট দেশ। অর্থনীতি ও জনসংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান বৃহৎ।’

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘বাংলাদেশই একমাত্র দেশ, যেটি এলডিসি হিসেবে পাওয়া সুযোগগুলোকে যথাযথভাবে ব্যবহার করেছে। দেশটি অগ্রাধিকারমূলক বাজারসুবিধা ব্যবহার করে রফতানি বাড়িয়েছে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো- এই ধরনের সুযোগগুলো আরও চলতে থাকবে কি না। যদি তা না হয়, তাহলে তারা কীভাবে কাজ করবে? এমসি ১২ এর ঘোষণায় গ্র্যাজুয়েশন হওয়ার পরে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেগুলো অতিক্রম করার জন্য কোনো প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি।’

টিএই/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর