মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বিশ্বকাপ ফুটবল: টিভিতে আগ্রহ কমলেও বেড়েছে প্রজেক্টর বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০২২, ০৭:৩২ পিএম

শেয়ার করুন:

বিশ্বকাপ ফুটবল: টিভিতে আগ্রহ কমলেও বেড়েছে প্রজেক্টর বিক্রি

অপেক্ষা শেষে পর্দা উঠতে চলেছে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসরের। এবারের মূল আয়োজক পারস্য উপসাগরের উপকূলীয় দেশ কাতার হলেও ফুটবলের এই উন্মাদনা ঘিরে আয়োজনের কমতি নেই বিশ্বের কোনো ভূখণ্ডেই। তাইতো ভৌগোলিকভাবে পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপের সিংহভাগ অঞ্চল তথা বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তরেই বইছে বিশ্বকাপ ফুটবলের হাওয়া। এতে রঙিন পর্দায় খেলা দেখাতে ক্রীড়া প্রেমীদের নানা তৎপরতাও চোখে পড়ছে। তবে এবারের ফুটবল বিশ্বকাপ ঘিরে আশানুরূপ টেলিভিশন বিক্রি না হলেও প্রজেক্টর বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে।

সরেজমিনে রাজধানীর মাল্টিপ্ল্যান, আইসিটি ভবন, স্টেডিয়াম মার্কেট ও বায়তুল মোকাররম মার্কেটের ইলেকট্রিক দোকান ও বিপণি বিতান ঘুরে এমন তথ্যই জানা গেছে।


বিজ্ঞাপন


TVবিক্রেতারা বলছেন, ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের তুলনায় এবার অন্তত ২০ শতাংশ কমেছে টেলিভিশন বিক্রি। এরমধ্যে বর্তমানে চাহিদার ৫০ শতাংশেই রয়েছে ৩২ ইঞ্চি টিভি। এছাড়া ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ৪৩ ইঞ্চি এবং ২০ শতাংশের অন্যান্য আকারের টিভির চাহিদা রয়েছে।

এ বিষয়ে কথা হলে রাজধানীর এলিফেন্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান মার্কেটের দোকানি শাহীনুল হাসান ঢাকা মেইলকে বলেন, প্রতিটি জিনিসেরই দাম বেড়েছে। এছাড়াও বেচা-বিক্রির পরিস্থিতি দেখে মনে হয় মানুষের হাতে টাকা নেই। বিশ্বকাপ ফুটবল ঘিরেও কিছুটা মন্দা এবারে বাজার। তবে প্রজেক্টরের চাহিদা আছে। এছাড়াও উচ্চমূল্যর টিভির তুলনায় মোটামুটি রিজোনেবল প্রাইজের টিভির চাহিদা আছে। সবমিলিয়ে ৫০ থেকে ৬০ হাজার রেঞ্জের টিভিগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে।

TVএদিকে, স্টেডিয়াম মার্কেটের বিক্রয় প্রতিনিধি দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিদিনই কম-বেশি ক্রেতা আসেন। তারমধ্যে দেখতে আসা ক্রেতাদের আধিক্যই বেশি। এছাড়াও মানুষের মনে কেমন যেন একটা আতঙ্ক কাজ করছে, দুর্ভিক্ষ আসছে। তাই হয়তো মানুষ নগদ টাকা খরচ করে বিলাসী জিনিসপত্র খুব একটা ক্রয় করছে না বলেও ধারণা তার।

এই বিক্রয় প্রতিনিধি আরও বলেন, ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ পুরোদমে আমেজ নিয়ে এসেছিল। দিনে যে পরিমাণ বিক্রি হয়েছে, বর্তমান বাজারে তার অর্ধেকে নেমেছে। তবে প্রজেক্টর বিক্রি বেড়েছে।


বিজ্ঞাপন


TVদৈনিক কী পরিমাণ প্রজেক্টর বিক্রি হচ্ছে জানতে চাইলে বায়তুল মোকাররম মার্কেটের দোকানি গনী বিপ্লব বলেন, দিনে শতাধিক প্রজেক্টর বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে  সি-৮, সি-৯ মডেলগুলোর চাহিদা কিছুটা বেশি।

ঢাকা মেইলকে তিনি আরও বলেন, ক্রেতারা কিছুটা কম দামের প্রজেক্টর খোঁজেন। তবে কিছু উন্নতমানের প্রজেক্টর বাজারে এসেছে, যেগুলো ব্যবহারে মনিটরের প্রয়োজন হয় না। যদিও দাম বেশি হওয়ায় এসবের বিক্রি কিছুটা কম। তবে সাধারণত ১০ হাজার টাকার মধ্যে বা তার চেয়ে বেশি দামের প্রজেক্টর বেশি বিক্রি হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ডিএইচডি/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর