শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

তামাক নিয়ন্ত্রণ পুরস্কার জিতলেন চার সাংবাদিক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২২, ০২:৪৩ পিএম

শেয়ার করুন:

তামাক নিয়ন্ত্রণ পুরস্কার জিতলেন চার সাংবাদিক

তামাক নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় প্রগতির জন্য জ্ঞান প্রজ্ঞারতা তামাক নিয়ন্ত্রণ পুরস্কার পেয়েছেন চার সাংবাদিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সিদ্দিক বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে অগ্রগতি ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এই পুরস্কার দেওয়া হয়।


বিজ্ঞাপন


তামাক নিয়ন্ত্রণ সাংবাদিকতা পুরস্কার ২০২২ বিজয়ীরা হলেন, প্রিন্ট মিডিয়া বিভাগে দৈনিক মানবজমিনের যুগ্ম সম্পাদক শামীমুল হক এবং ডেইলি সানের সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেন্ট মোহাম্মদ আল আমিন। অনলাইন মিডিয়া বিভাগে প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার মোছাব্বের হোসেন এবং টিভি রিপোর্ট বিভাগে দেশ টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার আনোয়ার হোসেন। 

বিজয়ী সাংবাদিকদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা, একটি সনদ এবং ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডসের (সিটিএফকে) সহায়তায় প্রজ্ঞা এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স- আত্মা যৌথভাবে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সাংবাদিকরাই সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারে। জনগণকে সচেতন করতে তাদের আরও লিখতে হবে। এন্ট্রি টোবাকোর বিরুদ্ধে বিদেশি ব্যবসায়ী ও কোম্পানিগুলো বেশি বিরোধিতা করছে। এক্ষেত্রে আমাদের দেশের ব্যবসায়ী ও কোম্পানির তামাক নিয়ন্ত্রণের বিপক্ষে অবস্থান কম। এটি ভালো দিক।

সম্প্রতি সাংবাদিকদের সোর্স প্রকাশ না করার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় তাদের স্বাধীনতাকে বৃদ্ধি করেছে উল্লেখ করে তামাক নিয়ন্ত্রণ পুরস্কার সাংবাদিকদের আরও উৎসাহিত করবে বলে জানান তিনি।


বিজ্ঞাপন


প্রজ্ঞার তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক প্রকল্প প্রধান মো. হাসান শাহরিয়ার বলেন, সব ধরনের পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান রাখার বিধান বিলুপ্ত করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবটি জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। কারণ ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান রেখে পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে অধূমপায়ীদের সুরক্ষা প্রদান সম্ভব নয়। একইভাবে বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য বা প্যাকেট প্রদর্শন নিষিদ্ধ না করা গেলে তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ছোবল থেকে রক্ষা করা যাবে না। বিশ্বের ৫০টি দেশ ইতোমধ্যে বিনামূল্যে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে। কারণ সিএসআর’র নামে কোম্পানিগুলো নিজেদের ব্র্যান্ড প্রচারের কাজ করে থাকে।

তিনি আরও বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন খসড়াটি বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে এখন চূড়ান্ত হওয়ার পথে। তবে তামাক কোম্পানি সরকারের এই পদক্ষেপকে বাধাগ্রস্ত করতে নানাবিধ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করে নীতিনির্ধারকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তামাকের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। অসুস্থ ও পঙ্গুত্ববরণ করেন আরও কয়েক লাখ মানুষ।

এমএইচ/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর