ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দুস্কৃতিকারীদের জন্য শত্রু হিসেবে কাজ করে, আর যারা ভালো তাদের জন্য মিত্র হিসেবে কাজ করে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আহসান হাবিব খান। বলেছেন, এখন থেকে যতগুলো এলাকায় ভোট হবে, সবগুলোতেই সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে কেন্দ্রে ভোটের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
কমিশনার আহসান হাবিব বলেন, 'আমরা এখানে পরীক্ষা দিতে আসি নাই। ভালো নির্বাচন উপহার দিতে চাই।’
নির্বাচন কমিশন কারও চাপে নেই দাবি করে আহসান হাবীব বলেন, ‘আমরা কখনও চাপের মধ্যে ছিলাম না। সত্যিকার অর্থেই স্বাধীনভাবে সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি।'
আহসান হাবিব বলেন, ‘ভবিষ্যতে প্রতিটা নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করব। স্থানীয় নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচন ও উপ-নির্বাচন, সবগুলোতে। অতীতে যেমন সুফল পেয়েছি, ভবিষ্যতেও পেতে চাই।'
কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়া নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছে। যা অনেকের প্রশংসাও পেয়েছে। তবে সবশেষ গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে সিসি ক্যামেরায় অনিয়ম দেখে একে একে ৫০টি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে পুরো ভোট বন্ধ করে দেয় ইসি।
বিজ্ঞাপন
যা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে নানা মহলে। তবে সম্প্রতি সরকারের একজন মন্ত্রী ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরায় ভোটে ভোটারের প্রাইভেসি নষ্ট হচ্ছে বলে দাবি করেন।
সে কথা আমলে নিচ্ছেন না ইসি আহসান হাবিব। তিনি বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা ও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে কেমন ফল পেয়েছি তা সবাই জানেন। এটা কতটা স্বচ্ছতা এনেছে, কুমিল্লা সিটিতে সুফল পেয়েছি, জেলা পরিষদ নির্বাচনেও পেয়েছি। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনগুলোতেও ব্যবহার করব।’
যাদের অসৎ উদ্দেশ্য আছে তারাই ক্যামেরার বিরোধী বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ মনে করে প্রাইভেসি নষ্ট করছে সিসি ক্যামেরা। বাসার সামনে, রাস্তা-ঘাটে; সব জায়গায় ক্যামরা বসানো। যারা দৃষ্কৃতিকারী, তাদের জন্য সিসি ক্যামেরা শত্রু হিসেবে কাজ করে। আর যারা ভালো তাদের মিত্র হিসেবে কাজ করে।’
গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোটের অনিয়মের তদন্তের বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, কমিটি তিন দিন সময় চেয়েছে। কমিশন হয়তো সময় দেবে।
বিইউ/জেবি

