শনিবার, ৪ মে, ২০২৪, ঢাকা

বাথরুমের পানি খেয়েই বেঁচে ছিল নির্যাতিত লিজা!

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬ মার্চ ২০২২, ০৪:৩১ পিএম

শেয়ার করুন:

বাথরুমের পানি খেয়েই বেঁচে ছিল নির্যাতিত লিজা!
নির্যাতিত তরণী ও আটক দম্পতি | ছবি: ঢাকা মেইল

গৃহকর্মীকে (১৩) অমানুষিক নির্যাতনের পর বাড়ির বাথরুমে আটকে রেখেছিলেন এক দম্পতি। এরপর ঘুরতেও যান আত্মীয়ের বাসায়। টানা তিন দিন বাথরুমে আটকা থাকার পর জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল পেয়ে সেই গৃহকর্মীকে উদ্ধার করেছে ভাটারা থানা পুলিশ।

উদ্ধারের পর ওই গৃহকর্মীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পোড়া থাকায় তাকে হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


এ ঘটনায় রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার অভিযুক্ত ওই দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (৬ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন ভাটারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজেদুর রহমান সাজিদ।

সংবাদ সম্মেলনে ওসি জানান, আমরা শনিবার (৫ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে ৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ৪ নম্বর রোডের বি-ব্লকের ১৯৩ নম্বর বাসায় যাই। পরে প্রতিবেশীরা জানান, ওই বাসায় এক গৃহকর্মীকে বাথরুমে আটকে রাখা হয়েছে। এরপর আমরা সেখান থেকে গৃহকর্মী লিজাকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করি।

ওই ঘটনায় শনিবার রাতেই গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় অভিযুক্ত গৃহকর্তা এজাজ সাকলাইন (৩৮) ও তার স্ত্রী মোছা. তানজিমা হাসেমকে (৩৪) আটক করা হয়।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: এক বছরে ৮১৮ শিশুকে ধর্ষণ, খুন ১৮৩

ওসি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে- গৃহকর্মী লিজা চার হাজার টাকা বেতনে ওই বাসায় কাজ নেন। এরপর থেকেই বিভিন্ন সময়ে তুচ্ছ ঘটনায় তাকে মারধর করা হত। লোহার খুন্তি আগুনে গরম করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতন চালানো হত। এমনকি মাথার চুলও টেনে ছিঁড়ে ফেলতেন অভিযুক্ত দম্পতি। এসব ঘটনায় লিজা অসুস্থ হয়ে পড়লে গেল ৩ মার্চ বিকালে তাকে বাসার বাথরুমের ভেতর আটক করে মেইনগেটে তালা দিয়ে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যান ওই দম্পতি।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, তিন দিন ধরে আটক থাকা লিজা বাথরুমের পানি খেয়েই বেঁচে ছিল। তার দুই হাত-পা, মুখ ও পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। পাশাপাশি আসামিদের আদালতে প্রেরণ করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

টিএই/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর