বুধবার, ১ মে, ২০২৪, ঢাকা

ইভিএমের বাজেট দিয়ে সিসি টিভির ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২২, ০৫:৪৯ পিএম

শেয়ার করুন:

ইভিএমের বাজেট দিয়ে সিসি টিভির ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ
ফাইল ছবি

বিতর্ক থাকায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনের জন্য ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) না কিনে সেই বাজেট দিয়ে সিসি টিভি কেনার পরামর্শ দিলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন।

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেছেন, ‘ভালো হোক, মন্দ হোক—ইভিএম নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। যে বাজেটে ১৫০টি আসনের জন্য ইভিএম কেনা হবে তার থেকে ভালো যতখানি সম্ভব সিসিটিভি ব্যবহার করা।’


বিজ্ঞাপন


বুধবার (১৯ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি এই পরামর্শ দেন। সভা থেকে বের হয়ে সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের এই কথা জানান।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে নির্বাচন কমিশন ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ, কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ ও কে এম নুরুল হুদা।

এ ছাড়া সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম।

cec2


বিজ্ঞাপন


নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক সচিবদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-ড. মোহাম্মদ সাদিক, হেলালুদ্দীন আহমদ, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. মোখলেছুর রহমান, বেগম জেসমিন টুলী প্রমুখ।

বৈঠকে আসার জন্য মোট ২৮ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও উপস্থিত ছিলেন ১৪ জন। এদিকে সাবেক সিইসিদের মধ্যে এটিএম শামসুল হুদা ও আবু হেনা যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আর ‘বিতর্কিত’ এমএ আজিজ আমন্ত্রণ পাননি।

ব্যালটে ভোটের পক্ষে মত দিয়ে সাবেক কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ব্যালট পেপারে ভোট চুরি করলেও সেটা খুঁজে বের করা সহজ। আপনাদের কাছে ভোটার লিস্ট (ছবিসহ) আছে। স্বাক্ষর আছে। সবকিছু আছে। ম্যাচ করা যায়। সূক্ষ্ম কারচুপি আপনারা যেটা দেখলেন ইভিএমে, বাইরের পরিবেশ ফার্স্ট ক্লাস! ঝামেলা নেই। হইচই নেই। কিন্তু ভেতরে কী হচ্ছে? অন্য সিস্টেমে (ব্যালটে) যখন এটা হবে বাইরেও হইচই হবে। কারণ, একা তো পারবেন না।’

ইসির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভোট কাটতে হলেও পাঁচ থেকে ছয়জন লাগবে। এতে প্রতিপক্ষ তো হইচই করবে। এটা আপনারা আরও ভালো করে দেখতে পারবেন। ভোটকক্ষের সিসিটিভি তো কষ্ট করে দেখতে হয়।’

88

‘গাইবান্ধা নিয়ে ইসি ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে’

গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ইসির নেওয়া পদক্ষেপকে স্বাগত জানান সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি, আপনারা যেটা করেছেন, সেটা ঠিক আছে। তবে পরের ধাপগুলোয় যেন স্লিপ না করেন। যদি স্লিপ করেন, তাহলে জাতির কাছে অন্য রকমের মেসেজ যাবে। আপনারা দেখানোর জন্য করেছেন। বাকিটুকু করলেন না। আইন শক্ত অবস্থানে যে বলেছেন, প্লিজ ডু ইট।’

কমিশন তার ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে জানিয়ে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘এখন ফলোআপ হচ্ছে কারা, কী করেছে, তা বের করা। কারা দোষী, কারা দোষী নয়, সেটা চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে না পারলে ইসির উদ্দেশ্য নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠবে।’

কেবল ভোট বন্ধ নয়, যে ক্ষমতা আছে সেটা প্রয়োগ করার জন্যও ইসিকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমি বলেছি নিজস্ব কর্মকর্তা ও যাদের দিয়ে ভোট করাবেন তাদের কনফিডেন্স আনতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে আপনারা প্রটেকশন দিচ্ছেন।’

বিইউ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর