বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

গাইবান্ধার ভোট নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে: সিইসি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২২, ১২:২০ পিএম

শেয়ার করুন:

গাইবান্ধার ভোট নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে: সিইসি

সুষ্ঠু ভোটের জন্য কেন্দ্রে কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ নানা প্রস্তুতি নিয়ে গাইবান্ধা-৫ আসনে উপ-নির্বাচনে নেমেছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ভোটগ্রহণ শুরুর কিছু সময় পর থেকেই পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। বুথে ঢুকে জোরপূর্বক ভোট দেওয়ার ঘটনাসহ নানা অনিয়ম দেখে একে একে ৪৩টি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া বন্ধ করে দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এসময় সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। নির্বাচনকে নির্বাচনের মতোই করতে চায় কমিশন।’ 

বুধবার (১২ অক্টোবর) সকাল থেকে সিসি ক্যামেরায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনাররা। এসময় অনিয়মের ছবি ধরা পড়ায় কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয় কমিশন।


বিজ্ঞাপন


election commission

সিইসি বলেন, ভোট নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। আমরা স্বচক্ষে গোপন কক্ষে অবৈধভাবে প্রবেশ করে ভোট দিয়ে দিতে দেখেছি। তাই ভোটকেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মূল অ্যাকশন হিসেবে আমরা কেন্দ্র বন্ধ করেছি। এখন চাকরি বিধি অনুযায়ী বা অন্য বিধি অনুযায়ী কী অ্যাকশন নেব তা পরে দেখবো। আমরা টেলিফোনে এসপি, ডিসি, রিটার্নিং অফিসারকে বলেছি যে আমরা এখান থেকে সিসি ক্যামেরায় দেখতে পেয়েছি। তাই সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছি।’

কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, ‘কমিশন যদি মনে করি নির্বাচন সঠিকভাবে হচ্ছে না তাহলে কমিশন নির্বাচন বন্ধ করতে পারে। আমরা সেই আলোকে নিদ্ধান্ত নিচ্ছি এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যখন নেব, তখন জানাবো।’


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে কেন চলে গেল তা আমরা বলতে পারবো না। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে অনেকটাই। আপনারাও দেখতে পেয়েছেন যে গোপন কক্ষে কী হচ্ছে এবং সুশৃঙ্খলভাবে হচ্ছে না। কেন হচ্ছে এখন তা চটজলদি বলতে পারবো না।’

সিইসি বলেন, ‘আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ঠিকমত কাজ করছে কি না, তা আমরা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। ইভিএমেরও কোনো ত্রুটি দেখতে পাচ্ছি না। ওই যে মানবিক আচরন, আরেকজন ঢুকে যাচ্ছে, দেখিয়ে দিচ্ছে। আবার অনেকেই দেখছি গেঞ্জি পরে, শাড়ি পরে যেখানে প্রতীক আছে দেখিয়ে দিচ্ছে। তারা আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছে এবং এটা সুশৃঙ্খল নির্বাচনের পরিপন্থী। এরাই ডাকাত, এরাই দুর্বৃত্ত। যারাই আইন মানছেন না তাদেরই আমরা ডাকাত-দুর্বৃত্ত বলতে পারি। কারণ আইনের প্রতি সবার শ্রদ্ধা করতে হবে। সবাই যদি আইন না মানি নির্বাচন কমিশন এখানে বসে সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারবে না।’

এর আগে সকাল ৮টা থেকে গাইবান্ধা-৫ ফুলছড়ি সাঘাটা আসনে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলার কথা ছিল। তবে ইভিএম মেশিনে জটিলতার কারণে কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানা যায়।

সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের মোট ১৪৫টি কেন্দ্রে  ভোট নেওয়া হচ্ছে ইভিএমে। ১৪২ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ভোটগ্রহণের কার্যক্রম সরাসরি পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন। 

এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার সাতটিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে মিলে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ১৬০ জন।

গত ২২ জুলাইয়ে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে আসনটিকে শূন্য ঘোষণা করা হয়।

বিইউ/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর