সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফরের আদ্যোপান্ত জানালেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬ অক্টোবর ২০২২, ০৪:৪৪ পিএম

শেয়ার করুন:

যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফরের আদ্যোপান্ত জানালেন প্রধানমন্ত্রী

সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফর সম্পর্কে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে আদ্যোপান্ত জানিয়েছেন সরকারপ্রধান।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকেল চারটায় গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই সরকারপ্রধান সফর সম্পর্কে লিখিত বক্তব্য দেন।


বিজ্ঞাপন


শেখ হাসিনা বলেন, ‘ব্রিটেনের প্রয়াত রাণি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্তেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে এবং নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৭তম সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের উদ্দেশে আমি ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ঢাকা থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওয়ানা হই। ১৮ সেপ্টেম্বর আমি এবং আমার ছোটবোন শেখ রেহানা বাকিংহাম প্যালেসে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে যুক্তরাজ্যের রাজার এক সংবর্ধনায় যোগ নেই। ওয়েস্ট মিনস্টার প্যালেসের হলে শবাধারে সংরক্ষিত প্রয়াত রানী দ্বিতীয় এলিজাবেদের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করি। পরে ল্যাঙ্কাস্টার হাউসে রাখা শোক বইতে আমি বাংলায় লিখি, 'আমি বাংলাদেশের জনগণ, আমার পরিবার এবং আমার ছোটবোন শেখ রেহানার পক্ষ থেকে গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। শোক বইয়ে রেহানা লিখেন। তিনি আমাদের হৃদয়ের রানি এবং সব সময় থাকবেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯-এ সেপ্টেম্বর অন্যান্য বিশ্বনেতাদের সঙ্গে ওয়েস্ট মিনস্টার অ্যাবেতে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে যোগদান করি। ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রীগণ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোসহ বিশ্বের কয়েক শ' বিশিষ্ট ব্যক্তি শেষকৃত্যে যোগ দেন। এর আগে, ১৬ সেপ্টেম্বর কনফেডারেশন অফ ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রির (সিবিআই) প্রেসিডেন্ট চেলসির লর্ড করণ বিলিমোরিয়া আমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে লর্ড বিলিমোরিয়ার প্রয়াত পিতা ভারতীয় সেনাবাহিনীর জেনারেল ফরিদুন বিলিমোরিয়ার অবদানের কথা স্মরণ করে শ্রদ্ধা জানাই। লর্ড বিলিমোরিয়া বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।’

01

১৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের বিরোধীদলীয় এবং লেবার পার্টির নেতা স্যার কিয়ের স্টারমার আমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এ সম্পর্কে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তিনি যুক্তরা জুড়ে লেবার পাটি থেকে ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। একই দিন মেরিলেবোনের লর্ড স্বরাজ পালও আমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ ছাড়া, বিবিসি'র প্রখ্যাত সাংবাদিক ও উপস্থাপক কুয়েন্সবার্গ আমার একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন।’


বিজ্ঞাপন


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য ১৯-এ সেপ্টেম্বর রাতে আমি নিউইয়র্ক পৌঁছি এবং ২৪-এ সেপ্টেম্বর সেখানে অবস্থান করি। এ সময় আমি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের মোট ৯টি উচ্চ পর্যায়ের সভা ও সাইড ইভেন্টে অংশগ্রহণ করি। ১৯-এ সেপ্টেম্বর আমি জাতিসংঘ মহাসচিব আয়োজিত Transforming Education Summit-এ ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করি। ২০-এ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ ৭৭তম অধিবেশনের সভাপতি জনাব সাবা করোসির আমন্ত্রণে বিশ্বের নারী নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণ করি। সভায় আমি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নারী সমাজের অবদানের কথা তুলে ধরি। তৃণমূল পর্যায়। শুরু করে জাতীয় পর্যায়ে নারীর সামাজিক, আর্থিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, নারী নেতৃত্বের সুযোগ সৃষ্টি নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করি। এ লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে অবহিত করি।’

২১-এ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ, বতসোয়ানা, স্লোভাক রিপাবলিক এবং ইউএন হ্যাবিট্যাটের যৌথ আয়োজনে টেকসই আবাসন একটি উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। সভায় টেকসই আবাসন নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সাফল্য তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গৃহহীন ও ভূমিহীন জনগণের জন্য গৃহীত আশ্রয়ণ প্রকল্প, গ্রামীণ জনপদের উন্নয়নের জন্য 'আমার গ্রাম আমার শহর' উদ্যোগ, ‘ঘরে ফেরা' প্রকল্পের তুলে ধরি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একই দিন আমি Global Crisis Response Group (GCRG) এর চ্যাম্পিয়ন হিসেবে একটি উচ্চ পর্যায়ের সভায় অংশগ্রহণ এই সভায় জাতিসংঘ মহাসচিব, জার্মানির চ্যান্সেলর, সেনেগালের রাষ্ট্রপতি, বারবাডোসের প্রধানমন্ত্রী এবং ইন্দোনেশিয়া ও ডেনমার্কের পররাষ্ট্র অংশগ্রহণ করেন। বৈশ্বিক আর্থিক সঙ্কট মোকাবিলায় G-7, G-20, OECD, IMF, World Bank কে আরও জোরালো উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য জানানো হয়।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘এ দিন সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমন্ত্রণে অভ্যর্থনা সভায় আমি অংশগ্রহণ করি। এ সময় আমি মার্কিন প্রেসিডে ফার্স্ট লেডিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানাই। ২২-এ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই লেভেল সাইড ইভেন্টে আমি অংশগ্রহণ করি। বাংলাদেশসহ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, সৌদি আরব, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, গাম্বিয়া এবং বাংলাদেশ যৌথভাবে এই হাই লেভেল সাইড ইভেন্টটি আয়োজন করে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আমি ৫টি প্রস্তাব তুলে ধরি। প্রস্তাবসমূহ হলো: . রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাজনৈতিক সমর্থন ও মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখা আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, জাতীয় আদায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে চলমান মামলায় সমর্থন প্রদান, আসিয়ানের পাঁচ-দফা ঐক্যমতে মিয়ানমারের অঙ্গীকারসমূহ এবং কফি আনান কমিশনের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নে মিয়ানমারকে চাপ প্রয়ো জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর অব্যাহত দমন-পীড়ন বন্ধে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা করা, মিয়ানমারে জাতিসংঘসহ মানবিক সহায়তাকারীদের নির্বিঘ্নে প্রবেশ নিশ্চিত করা।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘ওই দিন আমি এবং বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী এন্টি-মাইক্রোবিয়াল রেসিসটেন্স (AMR) বিষয়ে "One Health Global Leaders Group একই দিন আমি US-Bangladesh Business Council-এর আয়োজনে একটি গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণ করি। এ বৈঠকে আমি তথ্যপ্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, চিকিৎসা শিল্প, সামুদ্রিক শিল্প, ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, on AMR" শীর্ষক গ্রুপের সভায় যৌথভাবে সভাপতিত্ব করি। বেশ কয়েকটি হাই-টেক ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানাই। ২৩-এ সেপ্টেম্বর আমি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিতর্ক পর্বে বক্তব্য রাখি। প্রতিবারের মত এবারও আমি বাংলায় বক্তব্য দেই। আমার বক্তব্যে, করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের ফলে সৃষ্ট খাদ্য ও জ্বালানি সঙ্কট ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তির জন্য অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে অধিক পারস্পরিক সংহতি প্রদর্শন করার প্রতি গুরুত্বারোপ করি। এ সকল সংকটের কারণে বাংলাদেশসহ বাংলাদেশের শিল্পাঞ্চলগুলিতে বিনিয়োগের জন্য মার্কিন উন্নয়নশীল দেশসমূহ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং পাল্টা নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কট ও বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই। চলমান সঙ্কট নিরসনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শান্তি ও উন্নয়ন ভিত্তিক পররাষ্ট্রনীতির প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরি।’

02

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়ন এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের জন্য বাংলাদেশের পদক্ষেপের বিষয়ে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অর্জিত সাফল্যের কথা তুলে ধরে অন্তর্ভুক্তিমূলক জলবায়ু কার্যক্রমের প্রসারের জন্য আমি বিশ্বনেতৃন্দকে আহ্বান জানাই। প্রযুক্তির ব্যবহারে সকলের ন্যায্য ও সমান সুযোগ সৃষ্টি এবং ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তিগত বিভাজন দূর করার উপর গুরুত্বারোপ করি। বিশ্বশান্তি অর্জনের লক্ষ্যে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা ও শান্তি বিনির্মাণ কার্যক্রমে বাংলাদেশের অঙ্গীকার এবং অংশগ্রহণের বিষয়টি তুলে ধরেছি। মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আমাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করি। পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে মিয়ানমার হতে জোরপূর্বক বাস্তচ্যূত ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়ে আসছে। মানবিক কারণে নিপীড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশ সাময়িক আশ্রয় দিয়েছি। রোহিঙ্গারা যাতে সম্মানের সঙ্গে ও নিরাপদে তাদের নিজ দেশে ফিরতে পারে সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিন্তু মিয়ানমার সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করার জন্য জাতিসংঘকে কার্যকর ও জোরালো ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছি।’

জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন চলাকালে বঙ্গবন্ধুকন্যা বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানান তিনি। বলেন, ‘এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- স্লোভেনিয়ার রাষ্ট্রপতি, ইকুয়েডরের রাষ্ট্রপতি, কসোভোর রাষ্ট্রপতি, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী, জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটর, ইউএন হ্যাবিট্যাট-এর নির্বাহী পরিচালক, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (IOM) এর মহাপরিচালক, জাতিসংঘের High Representative, Global Affairs Meta-এর প্রেসিডেন্ট, ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামো নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং জাতিসংঘের মহাসচিব। এ সকল দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আমি পারস্পরিক ও বৈশ্বিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করি। ২৪-এ সেপ্টেম্বর আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশীদের আয়োজনে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করি নিউইয়র্কে অবস্থানকালে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি এবং ভয়েস অব আমেরিকা আমার সাক্ষাৎকার নেয়। জাতিসংঘের অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, মাননীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, কয়েকজন মাননীয় সংসদ সদস্য, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভা এবং দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। এবারের অধিবেশনে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ সকল সভায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে, যা বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশের অবস্থান যেমন আন সুদৃঢ় করেছে, তেমনি বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরও বিস্তৃত করবে বলে আমি আশাবাদী। সামি বিবেচনায় এবারের অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ অত্যন্ত সফল বলে আমি মনে করি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২৪-এ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আমি ওয়াশিংটন ডিসিতে যাই এবং ২রা অক্টোবর সন্ধ্যায় সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হই। ওয়াশিং ডিসি-তে অবস্থানকালে প্রভাবশালী মার্কিন গণমাধ্যম এনার্জি-এনভায়রনমেন্ট নিউজ, সিবিএস, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং দ্য পলিটিকো আমার সাক্ষাৎ গ্রহণ করে। এসব সাক্ষাৎকারে জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা সঙ্কট, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে বৈশ্বিক সঙ্কট এবং অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বিষয়স উঠে আসে।’

কারই/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর