সেই দুপুর থেকে বিদ্যুৎ নেই। রাত ৯টায়ও অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ আসেনি। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে রাজধানীবাসী। সন্ধ্যার পর গোটা ঢাকায় নেমে এসেছে অন্ধকার। এতে চেনা ঢাকা যেন অচেনা নগরীতে রূপ নিয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় ঘটে। এতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের প্রায় অর্ধেক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সন্ধ্যা সাতটার পর ঢাকাসহ কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ আসতে শুরু করে। তবে এখনও অনেক এলাকা অন্ধকারে ছেয়ে আছে।
বিজ্ঞাপন
বিদ্যুৎ না থাকায় অনেকেই বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন। ঘুরছেন এদিক-ওদিক। কোথাও যেন স্বস্তি নেই। হা-হুতাশ করছেন তারা। কেউ কেউ এই সুযোগে সরকারের সমালোচনাও করছেন।
রাজধানীর মগবাজারের বাসিন্দা একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নাইম ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘খুবই খারাপ লাগছে। বিদ্যুৎ গেছে অনেক হলো। খারাপ লাগছে। পড়ালেখা করতে পারছি না। এক ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ এলে ভালো হতো।’
পল্টনের সাব্বির আহমেদ ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘গরমে চরম অবস্থা। ভালো লাগছে না। বিদ্যুৎ নাই, কম্পিউটারে কাজ করতে পারছি না। কাল অফিসের কাজ আটকে আছে। বিদ্যুৎ না এলে কালকে অফিসে সমস্যা হতে পারে।’
বিজ্ঞাপন
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সিকিউরিটি গার্ড মিন্টু বলেন, ‘গরমের মধ্যে মোটা কাপড় পরে আছি। রাত দশটা পর্যন্ত থাকবো। অসম্ভব হচ্ছে ডিউটি করা।’
সন্ধ্যা সাতটার দিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, ঢাকা ও আশেপাশের অঞ্চলে দ্রুত বিদ্যুৎ রিস্টোর হচ্ছে। ইতোমধ্যে টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর, মানিকগঞ্জে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হয়েছে। এবং ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জের আংশিক এলাকায় সরবরাহ চালু হয়েছে। ঢাকায় লোড বেশি হবার কারণে সব লাইন সচল করতে কিছুটা দেরি হতে পারে। অনাকাঙ্ক্ষিত অসুবিধার জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।
এআইএম/জেবি