বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

জেনারেটরের তেলে চলছে ফিলিং স্টেশন, দীর্ঘ লাইন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪ অক্টোবর ২০২২, ০৬:৫৯ পিএম

শেয়ার করুন:

জেনারেটরের তেলে চলছে ফিলিং স্টেশন, দীর্ঘ লাইন

টানা কয়েক ঘণ্টা ধরে রাজধানীতে বিদ্যুৎ নেই। ফিলিং স্টেশনগুলোতে জ্বালানি সরবরাহ করতে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। তাই জেনারেটর চালিয়ে চালু রাখা হয়েছে জ্বালানি তেল বিক্রি। আর বিদ্যুৎ আসতে দেরি হতে পারে এমন আশঙ্কায় ফিলিং স্টেশনগুলোতে ভিড় লেগেছে।

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বেশ কয়েকটি ফিলিং স্টেশন ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।


বিজ্ঞাপন


সদরঘারে বুড়িগঙ্গা ফিলিং স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, সেখানে জ্বালানি তেল বিক্রি স্বাভাবিক রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় ফিলিং স্টেশন চলছে জেনারেটরে।

ফিলিং স্টেশনটির কর্মীরা জানান, বিদ্যুৎ না থাকলে জেনারেটরেই চলে তাদের কর্মযজ্ঞ। বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে তা এক ঘণ্টার জন্য হয়। তিনি আর তা সাড়ে ঘণ্টা পাড় হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে জেনারেটরে সব কিছু চালু রাখায় বাড়তি খরচ হচ্ছে বলেও জানান তারা।

একই চিত্র দেখা গেছে, বেড়িবাঁধ সড়কের সাদেক খান পেট্রোল পাম্প ও শিকদার পেট্রোল পাম্পে।

এদিকে ফিলিং স্টেশনগুলোতে দেখা দিয়েছে দীর্ঘ লাইন। কেউ তেল নিচ্ছেন মোটরসাইকেল পিকআপ ট্রাক বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনের জন্য। এরমধ্যে বেশিসংখ্যক তেল নিচ্ছেন জেনারেটরের জন্য।


বিজ্ঞাপন


বিকেলে রাজধানীর বনশ্রীর এইচ টি এম ফিলিং স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, দুপুর থেকে জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের ফলে বাসা বাড়ির জেনারেটর চালানোর জন্য দূর দুরান্ত থেকে তেল নিতে আসছেন। সেখানে দেখা যায় ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের ডামে, এমনকি পানির বোতলেও তারা জেনারেটরের জন্য তেল নিচ্ছেন।

power

রাজধানীর বনশ্রী আগড়া শোরুমের জেনারেটর এর জন্য তেল নিতে এসেছেন একরাম হোসেন। তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে দুপুর থেকে জেনেটার চালিয়ে শোরুম এর কাজ চালানো হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত মজুদ না থাকার কারণে এখন তেল প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ কারণে তেল নিতে আসছি।

একরামের মতো আরও অনেকেই বিভিন্ন মুদিখানার দোকান, বাসা বাড়ি ও ফার্মেসির জেনারেটর চালানোর জন্য তেল নিতে এসেছেন। রামপুরা থেকে বাসার জেনারেটর চালানোর জন্য তেল নিতে আসেন সবুজ আলী। তিনি বলেন, সারাদিন বিদ্যুৎ না থাকায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে। এজন্য জেনারেটরের চালাতে তেল নিতে আসছি।

অপরদিকে ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী সোহাগ হোসেন বলেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাট এর পর থেকে হঠাৎ করেই ফিলিং স্টেশনে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়। অন্যান্য দিনের মোটরসাইকেল গাড়ির চাপ থাকলেও আজকে জেনারেটরের জন্য তেল নিতে আসছেন বেশি। এমনকি প্রান্ত জেনারেটর এর মাধ্যমে চালাতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ না এলে পাম চালাতেও কিছুটা অসুবিধা হবে।

কারই/টিএ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর