বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘শুধু ধনীরা নয়, দরিদ্ররাও চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যায়’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:১৭ পিএম

শেয়ার করুন:

‘শুধু ধনীরা নয়, দরিদ্ররাও চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যায়’

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, চিকিৎসার উদ্দেশে দেশের মানুষের ব্যাপকভাবে বিদেশমুখী। হাজার হাজার নাগরিক দেশের বাইরে যাওয়া উদ্বেগজনক। শুধু ধনীরা নয়, দরিদ্র মানুষও চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যায়। 

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে ঢাকা ক্যান্সার সামিট-২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকার স্বাস্থ্যখাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। স্বাস্থ্যখাত সরকারি কেনাকাটার সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি লিস্টে তিন থেকে চার নম্বরে থাকে। এরপরেও এখাতে অনেক ঘাটতি রয়েছে। এর কারণ ফ্যাসিলিটিস ও সেবাপ্রাপ্তির মধ্যে একটা ফারাক রয়ে গেছে। এই ফারাকটা চিকিৎসকদেরই পূরণ করতে হবে।

রোগীদের বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এম এ মান্নান বলেন, হাজার হাজার নাগরিক চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাচ্ছে। যা খুবই দুঃখজনক। চেন্নাই, ব্যাংকক, দিল্লির ফ্লাইট ভরে মানুষ যায়। এর ৮০ ভাগই চিকিৎসার জন্য যায়। ধনীরা হয়তো ইচ্ছা করেই যায়। কিন্তু দরিদ্র অনেক মানুষও নিজের জায়গা-জমি বিক্রি করে ওইসব দেশে যায়। কেন যায় তা আমাদের বের করতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক জনসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ এসব ক্লিনিক থেকে সন্তুষ্টি নিয়ে ফিরে যাচ্ছে৷ অথচ সেখানে অল্প প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কিছু ছেলে মেয়ে কাজ করছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তবে তা আরও সংগঠিত করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, আমাদের ক্যান্সার চিকিৎসা অনেক এগিয়েছে। তবে আমাদের ডায়াগনোসিসে ঘাটতি রয়েছে। ক্লিনিক্যাল দক্ষতার পাশাপাশি প্যাথলজিক্যাল সাপোর্ট থাকতে হবে। অন্যথায় কাজ হবে না। আমাদের দেশ থেকে ভুল রিপোর্ট নিয়ে রোগীরা বিদেশে যায়, তখন এটি হাস্যরসের তৈরি করে। এটি আমাদের জন্য অপমানজনক। তাই ক্যান্সার চিকিৎসায় সংশ্লিষ্ট সকলকে আধুনিক হতে হবে। সম্মিলিতভাবে ক্যান্সার চিকিৎসায় এগিয়ে আসতে হবে।


বিজ্ঞাপন


সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, যে কোনো প্রয়োজনে আমরা আপনাদের পাশে থাকব। ক্যান্সার চিকিৎসায় ৫ বছর পর আমাদের অবস্থান কোথায় হবে তা এখনই ঠিক করতে হবে। আপনাদের রোড ম্যাপ তৈরি করতে হবে। কোন রোগীকে যেন দেশের বাইরে না নিতে হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

এমএইচ/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর