গত কয়েকদিন ধরে একের পর এক বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতরে গোলা নিক্ষেপ করছে মিয়ানমার। যাতে প্রাণহানিও ঘটেছে। আহত হয়েছেন অনেকে। বারবার মিয়ানমারকে সতর্ক করেও কোনো লাভ হচ্ছে না। যদিও এটাকে মিয়ানমারের অনিচ্ছাকৃত ভুল বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্ক সময় সন্ধ্যায় হোটেল লোটেতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওই এলাকার বর্ডারটা খুব ক্রিসক্রস। কখনো কখনো এটা বোঝা মুশকিল।
তো সে কারণে ওরা বলেছে যে তারা কোনো টার্গেটেড করে আমাদের এখানে কিছু ফেলছে না। দু-একটা যা পড়েছে সেগুলো বাই মিসটেক।
অবশ্য ভবিষ্যতে মিয়ানমার এ ব্যাপারে সতর্ক থাকবে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের ডেকেছি। তারা আমাদের অঙ্গীকার করেছে ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সিমান্তবর্তী এলাকায় বান্দরবনের ঘুমধুম এবং কক্সবাজারের উখিয়ায় মিয়ানমার গোলা ও মর্টার শেল নিক্ষেপ করেছে। এতে সীমান্তে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে এই সমস্যার সামাধান কূটনীতিকভাবে সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে প্রায় ৪০টি দেশের কূটনীতিকদের ডেকে পরিস্থিতি জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মিয়ানমারকে এসব বন্ধ করতে সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
মাঝে একাধিকবার ডেকে সতর্ক করা হয়েছে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে।
পররাষ্টমন্ত্রী বলেন, যে সংঘাত হচ্ছে সেটা মিয়ানমারের সংঘাত। তাদের ওখানে দু’দল মারামারি করছে। আর যেহেতু অনেক রোহিঙ্গা বর্ডার এলাকার নো ম্যান্স ল্যান্ডে থাকে, তার ফলে সেখানে সংঘাতের সময় কিছু গোলাগুলি হয়।
মিয়ানমারে সংঘাতের কারণে নতুন করে কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা খুব স্ট্রং পজিশন নিয়েছি। আমাদের এন্টার বর্ডারটা সিল করে দিয়েছি। যাতে করে একটা রোহিঙ্গাও আমাদের এদিকে ঢুকতে না পারে।
ড. মোমেন আরও বলেন, আপনারা জানেন ইতোমধ্যে কিছু লোক চীন এলাকায় যাচ্ছে। আমাদের দিকে সাহস করে আসেনি। দেশে রোহিঙ্গা যারা আছে তাদেরই এখনো ফেরত পাঠাতে পারি নাই। তবে তারা চলে যাবে বলে আশা করছি।
বিইউ/এএস