শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ভোটে ইভিএম ব্যবহারে আট যুক্তি ইসির

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:২৯ পিএম

শেয়ার করুন:

ভোটে ইভিএম ব্যবহারে আট যুক্তি ইসির

বিএনপিসহ বেশিরভাগ দলের আপত্তি থাকলেও আগামী সংসদ নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কত আসনে ইভিএমে ভোট হবে তা চূড়ান্ত না করলেও সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করতে চায় সংস্থাটি। আর বিরোধিতা থাকলেও ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে বড় করে সাতটি যুক্তি উপস্থাপন করেছে ইসি। এর বাইরেও ইসির দাবি বেশিরভাগ দল ইভিএমের পক্ষে মতামত দিয়েছে। তাই নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার কারণ নেই।

ইসি বলছে, ইভিএম দিয়ে জালিয়াতি করা যায় না। নির্ধারিত সময়ের আগে ভোটও দেয়া যায় না।


বিজ্ঞাপন


বুধবার (১৪সেপ্টেম্বর) দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে ইসি। ইসির নেয়া রোডম্যাপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

ইসি রোডম্যাপে দাবি করেছে, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে সংলাপে অংশগ্রহণকারী ২৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ইভিএম-এর পক্ষে মত দিয়েছেন ১৭টি রাজনৈতিক দল। বিপক্ষে মত দিয়েছেন ১২টি দল।

ইসি জানিয়েছে, সিটি করপোরেশন ও জেলা সদরের আসনগুলোতে এ ইলেকট্রনিক ভোটিং যন্ত্র ব্যবহারে তারা প্রাধান্য দেবে। আর ইভিএম ব্যবহারের পেছনে যুক্তিগুলোও রোডম্যাপে তুলে ধরা হয়েছে।

ইভিএম নিয়ে ইসির যত যুক্তি


বিজ্ঞাপন


১. বায়োমেট্রিক যাচাই করে ভোট দেওয়ার সিস্টেম থাকায় জাল ভোট অর্থাৎ একজনের ভোট অন্যজনের দেওয়ার সুযোগ নেই;

২. ওয়ান টাইম চিপস ব্যবহার ও এমবেডেড পার্টস থাকায় একইসঙ্গে একজন ভোটার একাধিক ভোট দিতে পারে না;

৩. একই ইভিএম বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়, বিধায় প্রোগ্রামের জালিয়াতি করা সম্ভব নয়;

৪. বিল্টইন ঘড়ি থাকায় নির্বাচনের সময় আরম্ভ হওয়ার আগে ভোট দেওয়া যায় না। একইভাবে ভোটগ্রহণের সময় শেষ হলে প্রিজাইডিং অফিসার বন্ধ বাটনে চাপ দিলে এর পরে ভোট দেওয়ার আর কোনও সুযোগ থাকে না;

৫. ভোট গণনা করতে হয় না, বাটনে চাপ দিলেই ফলাফল পাওয়া যায়;

৬. ব্যালটে ভোট হলে কেন্দ্র দখল করে ভোটের আগে পরে ইচ্ছামত বাক্সে ব্যালট ভর্তি করা সম্ভব। কিন্তু ইভিএমে এ ধরনের অন্যায় করার কোনও সুযোগ নাই;

৭. ইভিএম-এ ভোট ম্যানিপুলেশনের বিষয়ে বা কারচুপি করা সম্ভব এমন প্রমাণ কেউ উপস্থাপন করতে পারেনি।
ইসি জানায়, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ৪৪ থেকে ৬২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে; জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনে ১২টি আসনে ২৭.০৫%, ৬ টি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩৮.৩৭%, ১৯টি উপজেলায় ২৮.৯৫%, ১৭১টি পৌরসভায় ৫৮.৭০% এবং ৫১৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬৮.৭২%। সিটি কর্পোরেশনগুলোর নির্বাচনের সময় দেশে করোনার প্রবল সংক্রমণ ছিল।

ভোটাররা সফলভাবেই ইভিএম-এ ভোট দিতে সক্ষম হচ্ছে। আঙুলের ছাপ নিয়ে ভোটারদের সমস্যা হলেও ভোট দিতে তাদের কোনও সমস্যা হয় না। তবে এই অনুমতি মোট ১ শতাংশের বেশি দিতে পারেন না। ইভিএম ভোট যেমন সুষ্ঠু ও সঠিক হয় তেমনি কোনও প্রকার জালজালিয়াতির সুযোগ থাকে না।

বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের মত ইভিএম এর পক্ষে থাকায় ইভিএম ব্যবহার না করা যুক্তি সঙ্গত হবে না বলে কমিশন মনে করে। উভয় পক্ষের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে তাই কমিশন সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা যুক্তিসঙ্গত মনে করছে।

ইভিএমগুলো সিটি করপোরেশন ও জেলা সদরের আসনগুলোতে অগ্রাধিকারে ব্যবহার করা হবে। 

বিইউ/ একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর