মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত স্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এর আগে বাদ জুমা গুলশানের আজাদ মসজিদে বরেণ্য এই শিক্ষাবিদের জানাজা সম্পন্ন হয়। সেখানে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টাকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, কবি সোহরাব হোসেন, সাবেক দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান ছাড়াও সরকারি সাবেক বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও আকবর আলির স্বজনরা।
আরও পড়ুন: নিভে গেল এক কর্মবীরের জীবন প্রদীপ
ওই সময় শ্রদ্ধা জানানো শেষে কবি সোহরাব হোসেন বলেন, আকবর আলি খান তার কাজের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন। তিনি সব সময় যে সত্য লিখেছেন, সেই লেখনীর মাধ্যমে তিনি বেঁচে থাকবেন।
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশের পানিসম্পদ, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস ও তার নিজের আত্মজীবনীর দ্বিতীয় খণ্ড- এই তিনটি বই লেখা ও প্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই আকবর আলি খান চলে গেলেন। তার লেখনির মাধ্যমে জাতি তাকে স্মরণ রাখবে।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া অন্যদের মধ্যে আকবর আলি খানের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বলেন, পরিবার ও আত্মীয়দের সঙ্গে তার সম্পর্ক সবসময় ভালো ছিল। দীর্ঘদিন তিনি একা ছিলেন। স্ত্রীকে হারিয়ে বয়স্ক শাশুড়িকে তিনি দেখাশোনা করেছেন।
আরও পড়ুন: শেষবারের মতো শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত হলেন ড. আকবর আলি খান
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা যান আকবর আলি খান। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদের লেখা গ্রন্থের সংখ্যা ১৮টি। তার ‘হিস্টোরি অব বাংলাদেশ’ বা বাংলাদেশের ইতিহাস এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে। বইটিতে তিনি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও সামাজিক উত্থান এবং পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা করার পাশাপাশি দেশে ইসলাম ধর্মের বিকাশ নিয়েও আলোচনা করেছেন। এছাড়া তার অর্থনীতি বিষয়ক বই ‘পরার্থপরতার অর্থনীতি’ তুমুল আলোচিত হয়েছে। এতে তিনি সরস ও প্রাঞ্জল ভাষায় অর্থনীতির জটিল বিষয়বস্তু ব্যাখ্যা করেছেন।
/আইএইচ
