শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘দুর্বল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শহুরে জীবনযাত্রা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:৫৯ পিএম

শেয়ার করুন:

‘দুর্বল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শহুরে জীবনযাত্রা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে’

গ্রামাঞ্চলের তুলনায় দেশের বেশিরভাগ শহরে বর্জ্য সংগ্রহের দক্ষতা ৫০ শতাংশের কম। যা শহুরে জীবনযাত্রাকে অত্যন্ত বিপজ্জনক করে তুলেছে বলে জানিয়েছেন বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত ফোর আর রোডম্যাপ উপস্থাপন শীর্ষক সভায় এ কথা বলেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


বুয়েটের সাবেক এই অধ্যাপক একটি গবেষণা প্রবন্ধ তুলে ধরে বলেন, ২০১৪ সালের বর্জ্য ডাটাবেস অনুসারে- ২০২৫ সালে মোট ৪৭ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হবে। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালে কঠিন বর্জ্য উৎপাদন ৫৭ হাজার টন এবং ২০৪০ সালের মধ্যে তা ৭৭ হাজার টন ছাড়িয়ে যাবে। অথচ দেশের বেশিরভাগ শহরে বর্জ্য সংগ্রহের দক্ষতা ৫০ শতাংশেরও কম।

ড. ইজাজ হোসেন জানান, পচনশীল বর্জ্য শহুরে জীবনযাত্রাকে অত্যন্ত বিপজ্জনক করে তুলেছে। কঠিন বর্জ্যের দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রান্তিক মানুষ। বিশেষ করে বস্তি এলাকায় পড়ে থাকা বর্জ্যের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষেরা দুর্বিষহ ভোগান্তির সম্মুখীন হয়।

সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, অধিকাংশ শহরের ৫০ শতাংশ বর্জ্য সংগ্রহ হচ্ছে না। ফলে এসব বর্জ্য শহরে দূষণ ঘটাচ্ছে। এছাড়া ঢাকার আশপাশের ল্যান্ডফিলগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণ মিথেন নিঃসরণ হয়। যে গ্যাস কার্বন ডাই অক্সাইডের থেকে ১০০ গুণ বেশি ক্ষতিকারক। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমাদের ল্যান্ডফিল ধারণা নিয়ে ভাবতে হবে। ক্লাইমেট জাস্টিসের কথা বলি, এখানে তো আমরা নিজেরাই দূষণ করছি।

সভায় অন্যরা বলেন, দেশে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্য অর্জনে সম্প্রতি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০২১ পাশ হয়েছে। বিধিমালায় যুগান্তকারী বেশকিছু পদক্ষেপ গৃহীত হলেও সামগ্রিকভাবে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সরকার কি কর্মকৌশল বা কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করেছে, তার কোনো সুস্পষ্ট পথরেখার ধারণা পাওয়া যায় না।


বিজ্ঞাপন


বক্তারা আরও বলেন, যদি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা টেকসইভাবে পরিচালিত না হয়, তবে বেশিরভাগ শহর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। এমন পরিস্থিতিতে কঠিন বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা জরুরি হয়ে পড়েছে।

দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) কনসোর্টিয়াম আয়োজিত ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী।

ডিএসকে’র নির্বাহী পরিচালক ডা. দিবালোক সিংহের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে সংসদ সদস্য মো. শাহে আলম, ইউএসএআইডি প্রজেক্ট ম্যানেজম্যান্ট স্পেশালিষ্ট সুমনা বিনতে মাসুদ, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, কোয়ালিশন ফর দ্যা আরবান পুওরের (কাপ) নির্বাহী পরিচালক খোন্দকার রেবেকা সান ইয়াত, গবেষক আমিনুর রসুল, ঢাকা কলিং প্রকল্পের পরিচালক মাহবুল হক, বস্তিবাসীর অধিকার সুরক্ষা কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি হোসনে আরা বেগম রাফেজা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

টিএ/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর