বাংলাদেশের মেগা প্রকল্পগুলোর একটি অন্যতম হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। এ প্রকল্পটির নির্মাণকাজ করে যাচ্ছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার রাষ্ট্রয়াত্ব পরমাণু সংস্থা রোসাটম। কিন্তু চলমান রাশিয়া ইউক্রেন সংকটে প্রকল্প বাস্তবায়নে কী কোনো প্রভাব ফেলবে। যথা সময়ে কী প্রকল্পের কাজ শেষ হব।? সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল অনেকের মাথায়। এবার সে বিষয়টি পরিষ্কার করল ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রোসাটম।
চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া ইস্যু রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণ কাজে প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার রাষ্ট্রয়াত্ব পরমাণু সংস্থা রোসাটম। সংস্থাটি বলছে যথাসময়ই শেষ হবে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (১ মার্চ) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোসাটম জানায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি এবং কাজের শিডিউলে কোনো বিঘ্ন ঘটার সম্ভাবনা নেই। ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যকার চলমান সঙ্কটে রূপপুর প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রশ্ন ওঠার পরিপ্রেক্ষিতেই এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ইউক্রেনে হামলার পর থেকেই রাশিয়ার উপর আর্থিকসহ নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও লেনদেনের উপরও নিষেধাজ্ঞা এসেছে। ফলে রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় চলমান রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা ব্যক্ত করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এরই মধ্যে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি পরিষ্কার করলো রোসাটম।
২০১৩ সালের ২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার জন্য নিউক্লিয়ার পাওয়ার কোম্পানি অব বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ২০১৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সংসদে এ সংক্রান্ত আইন পাস হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর রাশিয়ার অ্যাটমিক করপোরেশনের সঙ্গে বাংলাদেশ অ্যাটমিক এনার্জি কমিশন চুক্তি করে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি ইউনিট থেকে মোট ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
টিএই/এএস

