ক্যান্টিনে খাবারের টাকা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে গত চারদিনে দু’দফা সংঘর্ষ হয়েছে। গত ১ সেপ্টেম্বর ও ৩ সেপ্টেম্বর রাতে কলেজের সাউথ ব্লক ও নর্থ ব্লকের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ চলে। দু’দফার এ সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ অন্তত দশজন আহত হয়েছে।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার কলেজের প্রধান ক্যান্টিনে খাবার খেয়ে টাকা না দেওয়া ও টাকা চাওয়ায় ক্যান্টিনের মালিককে ধরে এনে মারধর করে নর্থ ব্লকের শাহরিয়ার হাসান জিওন। এসময়ে সাউথ ব্লকের ছাত্রলীগের কর্মীরা এসে জিওনকে মেরে ক্যান্টিন মালিককে ছাড়িয়ে যায়। তখন প্রধান ক্যান্টিনে নিয়মিত চাঁদা পাওয়া সাউথ ব্লকের নেতা মিঠুন শেখের কর্মীরা এসে জিওনকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এ থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। ওইদিন রাতেই এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরবতী সময়ে এরই জের ধরে শনিবার রাত নয়টায় সাউথ ব্লকের ছাত্রলীগের কর্মী আল আমিনকে মারধর করে নথ ব্লকের ছাত্রলীগের কর্মীরা। এতে সাউথ ব্লকের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। পরবর্তীতে দুই ব্লকের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় দু গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে গোলাগুলি, ককটেল ছোড়াছুড়ি হয়৷
বিজ্ঞাপন
রাতে গোলাগুলির শব্দের ব্যাপারে কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক মো ইউসুফ বলেন, গতকাল গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিলো। যাতে তারা অনেক উন্নতমানের আতশবাজি ফোটায়। যা গুলির শব্দের মতো শোনা যায়। আসলে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে,ক্যান্টিনের বিল পরিশোধ ও চাঁদা দেওয়ার বিষয়ে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কলেজ প্রশাসন। এ বিষয়ে কলেজের প্রিন্সিপাল বলেন, যেহেতু ক্যান্টিন থেকেই ঘটনার সূত্রপাত তাই ক্যান্টিনের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় রোববার দুপুরে নিউমার্কেট থানায় শাহরিয়ার হাসান জিওনসহ অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে গত বৃহস্পতিবার রাতে আহত হওয়া সাউথ ব্লকের নাসির উদ্দীন।
এবিষয়ে নিউমার্কেট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ বলেন, একটি মামলা হয়েছে। মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/একেবি

