শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট ২০২২, ০১:৪৫ পিএম

শেয়ার করুন:

‘ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু’
ছবি: ঢাকা মেইল

বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপণ করেছিলেন বলে দাবি করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর বপণ করা ডিজিটাল বাংলাদেশের সেই বীজকে চারা গাছে পরিণত করেছেন শেখ হাসিনা। দেশে কম্পিউটার প্রসারে তিনি অসাধারণ কাজ করেছেন।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ‘দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা ও বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা শীর্ষক’ এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


আলোচনা সভার যৌথ আয়োজন করে জাগরণ টিভি ও নিউজ নাও বাংলা।

মন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকতা এবং ফেসবুক চর্চা এক জিনিস নয়। ফেসবুকে আমরা যা কিছু লিখতে পারি কিন্তু সংবাদপত্রে কলম আছে বলেই কিছু লিখে ফেলবো সে জিনিস নয়। দায়িত্বশীলতা সাংবাদিকতার অংশ।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপণ করেছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার জন্য বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর সময়ে পেয়েছিলেন। এর মধ্যেই দেশ পুনর্গঠনে তিনি প্রতিটি খাতের সূচনা করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর অবদানের বাইরে আমরা এক ইঞ্চিও যেতে পারিনি। ডিজিটাল বাংলাদেশের সেই বীজকে চারা গাছে পরিণত করেছেন শেখ হাসিনা। দেশে কম্পিউটার প্রসারে অসাধারণ কাজ করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের জন্য যে আইন করেছিলেন আমরা আজও তার বিকল্প করতে পারিনি। বঙ্গবন্ধুর শাসনকালে তার বিরুদ্ধে অসত্য, গুজব প্রচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কয়জন সাংবাদিককে জেলে ঢুকিয়েছিলেন? বঙ্গবন্ধু ৭৫ সালে যে কর্মসূচি নিয়েছিলেন এর প্রেক্ষিত আছে। তিনি কেন দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। ৭৪ সালে কীভাবে দুর্ভিক্ষ তৈরি করা হয়েছিল। সে জায়গাগুলোকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


মোস্তফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) সদস্য বানিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উড্ডয়নের সময় দেখা গেল আমাদের দুইটি গ্রাউন্ড স্টেশন রয়েছে। এর একটি বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র। এটি বঙ্গবন্ধু স্থাপন করেছিলেন। বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশকে যুক্ত করার জন্য তিনি এটি স্থাপন করেছিলেন।

গণমাধ্যম জগতে ডিজিটাল মাধ্যমের প্রভাব বাড়ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যেসব সংবাদপত্র নিবন্ধনকৃত তাদের নিয়ে আমাদের চিন্তা কম করতে হয়। প্রতিদিন মিডিয়া বাড়ছে; কিন্তু দায়িত্বশীল সম্পাদকের সংখ্যা বাড়ছে না। যার কারণে অনেকে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেন। তারা বাংলাদেশের স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করে না। দুর্ভাগ্যক্রমে যারা ফ্যাক্টচেকার তারাও জামায়ত-শিবির।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতা দেখলে বোঝা যায়, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে বাংলাদেশকে পাকিস্তান রাষ্ট্র অথবা তার অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য। সেই ষড়যন্ত্র এখনও আছে। পাকিস্তানের পক্ষের শক্তি এখনও সক্রিয়। শেখ হাসিনা না থাকলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকবে না। বাংলাদেশ পাকিস্তানে পরিণত হবে।

আমরা বাংলাদেশকে কখনও কোনো অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বাইরে যেতে দেবো না। যেকোনো মূল্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বানাবো।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কিশোরগঞ্জের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ, গ্লোবাল টেলিভিশনের সিইও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ডিবিসি নিউজের সম্পাদক প্রণব সাহা, বিএফইউজে সাধারণ সম্পাদক দীপ আজাদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব বলেন।

নিউজ নাও বাংলার প্রধান সম্পাদক শামীমা দোলার সভাপতিত্বে ও জাগরণ টিভির প্রধান সম্পাদক এফ এম শাহীনে সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিবার্তা২৪ডটনেটের সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন হাসি, গৌরব ’৭১ এর সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম রূপম প্রমুখ।

বিইউ/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর