যান্ত্রিক নগরীর যানজটপূর্ণ রাস্তার বাধা কাটিয়ে এক টুকরো সবুজের সন্ধানে ছুটির দিনে রমনা পার্কে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। ফলে সব বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখরিত রাজধানীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্রটি।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে রমনা পার্কে ঘুরে দেখা গেছে, রীতিমতো লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকেই পার্কে প্রবেশ করছেন।
বিজ্ঞাপন

দীর্ঘদিন উন্নয়ন কাজে বন্ধ থাকার পর পার্কটি খুলে দেওয়ার হলে আগ্রহ বেড়েছে দর্শনার্থীদের। সেই সঙ্গে বেড়েছে প্রকৃতি প্রেমীদের আনাগোনাও। তাই এমন পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত আনসার সদস্যদেরও তৎপরতা দেখা গেছে।
শুক্রবার পার্কের ৪ নম্বর ফটকে গিয়ে দিয়ে দেখা যায়, রীতিমতো লাইনে দাঁড়িয়ে পার্কে প্রবেশ করছেন সব বয়সী মানুষ। পরে ভেতরে গিয়ে নজর কাড়ে সাম্প্রতিক সময়ের উন্নয়ন কাজে নির্মিত সিরামিক ইটের তৈরি ওয়াকওয়ে। সেই সঙ্গে দর্শনার্থীদের জন্য বসার স্থানগুলোও চোখে পড়ার মতো করে সাজানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন
এ সময় অনেককেই লেকের পাড় ধরে হাঁটতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে স্বচ্ছ লেকের পানি যেন নজর কাড়ছে দর্শনার্থীদের। কারণ, শেষ বিকেলের সূর্যের আলো পড়ে নানা রূপে খেলছে লেকের পানি। যা অনেকেই ক্যামেরাবন্দিও করছেন। এছাড়া লেকের দুই পাড়ে হাঁটতে তৈরি করা হয়েছে ডেক। যেখানে কাঠের পাটাতনে হাঁটার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
এ দিন পার্কজুড়ে হকারদের তেমন একটা চোখে পড়েনি। তবে কেউ কেউ ঢুকে পড়লেও দর্শনার্থীদের আপত্তির মুখে নিরাপত্তা রক্ষীদের তাদের বের করে দিতে দেখা গেছে।

বিষয়টি নিয়ে মো. খলিল নামে এক হকার ঢাকা মেইলকে বলেন, আগের মতো ব্যবসার পরিবেশ নাই এখানে। ঢুকবার দেয় না। ঢুকলেও আনসারদের ২০ টাকা করে প্রতি পয়েন্টে দিতে গিয়ে লাভের টাকা থাকে না।
তবে সে যাই হোক এমন নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশ পেয়ে খুশি দর্শনার্থীরা। পরিবারের ছোট দুই সদস্য রাহাত ও আফসানাকে পার্কে ঘোরাতে নিয়ে এসেছেন বেসরকারি চাকুরে মাসুদ আলম। ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, সটকার্ট বেড়াতে যাওয়ার মাধ্যম রমনা। বন্ধ থাকাকালে বাচ্চাদের নিয়ে বিপাকে পড়তে হতো। এখন পরিবেশ ফিরতে শুরু করেছে, আলহামদুলিল্লাহ। তবে কতদিন টিকে থাকে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি।

গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, রমনা পার্কের আধুনিকায়নে ২০১৮ সালের অক্টোবরে ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। সর্বোচ্চ এক বছরের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করার কথা থাকলেও করোনার কারণে কাজ পিছিয়ে যায়। এখন অবধি পুরোদমে শেষ হয়নি উন্নয়ন কাজ।
ডিএইচডি/আইএইচ

