শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ঢাকা

কাউকে ভোটে আনার দায়িত্ব আমাদের নয়: ইসি আলমগীর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২২, ০৮:১২ পিএম

শেয়ার করুন:

কাউকে ভোটে আনার দায়িত্ব আমাদের নয়: ইসি আলমগীর
ফাইল ছবি

কোনো দল এলেও নির্বাচন হবে, আর না এলেও নির্বাচন হবে- এমনটা জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ‘কোনো একটি দলকে নির্বাচনে আনা বা না আনার দায়িত্ব ইসির নয়। সংবিধানের কোথাও আমাদের এ দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।’

তবে তিনি আশাবাদী নির্বাচনের বাকি সময়ে যারা ভোটে আসতে চায় না তারাও আসতে রাজি হবেন।


বিজ্ঞাপন


সংবিধানের কথা উল্লেখ করে এই কমিশনার বলেন, ‘সংবিধানে বলা আছে, যারা আগ্রহী তাদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করবে। সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে, এ কথা কিন্তু বলা হয়নি সংবিধানে।’

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার। সময়মতো নির্বাচন না করলে সংবিধান লঙ্ঘন হবে এ বিষয়টিও সাংবাদিকদের স্মরণ করিয়ে দেন এই কমিশনার।

মো. আলমগীর বলেন, ‘কোনো একটা দল না এলেও আমাদের নির্বাচন করতে হবে। না হলে সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ী হবো। আমরা বলবো কোনো দল এলেও নির্বাচন হবে, না এলেও নির্বাচন হবে। কারও নাম উল্লেখ করবো না। আমরা বলবো, যেকোনো দল না এলেও নির্বাচন হবে।’

ইসি আলমগীর বলেন, ‘কোনো দলের হয়তো সক্ষমতা নাও থাকতে পারে। আমাদের দিনক্ষণ গুণে নির্বাচন করতে হবে। কোনো দলের বা একাধিক দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা থাকতে পারে। অপেক্ষা করেন, এখনও তো এক বছর সময় আছে, তারা আসতেও পারে।’


বিজ্ঞাপন


বিএনপি বা অন্য কোনো দলকে ইসি নির্বাচনের বাইরে রাখতে চায় না এমন দাবি করে কমিশনার আলমগীর বলেন, ‘আমরা তো তাদের বাইরে রাখতে চাই না। ৩৯টি দলের কথাকেই আমরা মূল্যায়ন করেছি। আমাদের দৃষ্টিতে সবাই সমান। উনারা কী বলেছেন তা আমাদের কাছে রেকর্ড আছে। সেগুলোর ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তিনি দাবি করেন, সংলাপে বেশিরভাগ দল ইভিএমের পক্ষে বলেছে।

সাবেক ইসি সচিব এসময় শহর না গ্রামে ইভিএম ব্যবহার হবে সে বিষয় তফসিলের সময় সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানান।

ইসির হাতে থাকা ইভিএম দিয়ে ৭০ থেকে ৮০টি আসনে নির্বাচন করার সক্ষমতা আছে বলে জানান ইসি আলমগীর।

গত সোমবার ইসির বৈঠকের পরে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট হতে পারে এমনটা জানালেও আজকে তিনি বলেন, বর্তমানে সক্ষমতা আছে ৭০ থেকে ৮০ আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করার। কতটা হবে তখন বলা যাবে। দেখা গেল মেশিন হয়েছে বা সক্ষমতা নেই তাহলে ৭০-৮০টাও হতে পারে, আবার ৫০টাতেও হতে পারে। তবে ১৫০টির ওপরে হবে না। মিনিমাম ধরে রাখেন ৭০-৮০টা। কোনো কারণে যদি আমরা নতুন মেশিন কিনতে না পারি, কেননা হার্ডওয়ার পুরোটাই বিদেশ থেকে আসে। তারা যদি না দিতে পারে। তখন হয়তো আর কিনতে পারবো না। আবার ফান্ড যদি না পাই তাহলেও তো কিনতে পারবো না।

ইভিএমের বিষয়ে রাজনৈতিক দল নয়, ইসির সিদ্ধান্ত গুরুত্ব পেয়েছে এমনটা জানালেও ইসি আলমগীরের দাবি, অবশ্যই দলের যারা সংলাপে এসেছেন তাদের মতামত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে আমরা যেখানে ব্যবহারে করেছি সেখানে অভিজ্ঞাতা কী। এজন্যই দলগুলোর মতামত গুরুত্ব দিয়েছি। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সেটা ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে। আমরা গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভোটাদের ফিলিংসও আমলে নিয়েছি। দলের মতামতের বিশ্লেষণ, আমাদের ৬০০ নির্বাচনে ভোট করার অভিজ্ঞতা ও ভোটারদের ফিডব্যাক আমলে নিয়ে ইভিএম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ পর্যন্ত কোনো নির্বাচন কমিশন আস্থা অর্জন করেছে, তা বলা যাবে না এমন দাবি করে তিনি বলেন, কোনো বিচারক দুই পক্ষে রায় দিতে পারবেন না। ইসিও আইন-কানুন ফলো করে ন্যায় যেটা আসবে সেটাই করবে। সুতরাং নির্বাচন কমিশন উভয় পক্ষকে খুশি করার সক্ষমতা রাখে না। স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসনসহ চার মন্ত্রণালয় ইসির অধীনে আনা বাস্তবে সম্ভব না। কেননা, তখন সচিব সাহেব কমিশন না মন্ত্রীর কথা শুনবেন। এটাতে একটা আইনি জটিলতা সৃষ্টি হবে।

তবে নির্বাচনের সব সহযোগিতা দেওয়া, ইসির আদেশ না মানলে শাস্তির বিধান আছে বলেও জানান তিনি।

বিইউ/জেবি

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর