মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ঢাকা

‘সরকারের সহযোগিতা ছাড়া ইসি সফল হবে না’

সাকিব আবদুল্লাহ
প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২:১৫ পিএম

শেয়ার করুন:

‘সরকারের সহযোগিতা ছাড়া ইসি সফল হবে না’
রোববার নতুন কমিশনকে শপথ পড়ান প্রধান বিচারপতি

নানা জল্পনার পর অবশেষে গঠিত হয়েছে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী পাঁচ বছরের জন্য গঠিত এই কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতির করে দেওয়া নির্বাচন কমিশন শপথের পর তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।

এবার নতুন কমিশন নিয়ে মূল্যায়নের পালা। কেউ কেউ নতুন কমিশনকে স্বাগত জানিয়েছেন। কেউ বলছেন, কমিশন কতটা ভালো কাজ করতে পারবে তা এখনই বলা সম্ভব না। তারা কমিশনকে সময় দেওয়ার পক্ষপাতী।


বিজ্ঞাপন


সবাই মনে করছেন, যথেষ্ট যোগ্য মানুষের হাতেই কমিশনের দায়িত্ব পড়েছে। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু করার বিষয়টি শুধু কমিশনের ওপর নির্ভরশীল নয়। সরকারের সহযোগিতা ছাড়া নির্বাচন কমিশন সফল হতে পারবে না।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘যোগ্য ব্যক্তিদের হাতে কমিশন পড়লেও সরকারের সহযোগিতা লাগবে। এছাড়া তারা জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারবে না। আর আস্থা ফেরাতে তারা কী করবে সেটাও দেখতে হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য আ স ম আরেফিন সিদ্দিক ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে প্রথমবার আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। সিইসি হাবিবুল আউয়ালসহ যারা কমিশনের দায়িত্ব পেয়েছেন তাদের যোগ্যতার কোনো ঘাটতি নেই। একটা দীর্ঘ তালিকা করার পর যাচাই-বাছাই শেষে তারা এসেছেন।’

সার্চ কমিটি গঠনের পরই প্রস্তাবিত নামের তালিকা প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছিল সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। পরে প্রাথমিক তালিকার ৩২২ নাম প্রকাশিত হলেও সার্চ কমিটির সুপারিশকৃত দশটি নাম প্রকাশিত হয়নি।

এ প্রসঙ্গে সুজনের সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, কমিশন কেমন তা এখনই বলা যাবে না। তাদের সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। তবে মনে হচ্ছে সার্চ কমিটিতে স্বচ্ছতার অভাব ছিল।

সাংবাদিক ও কলামিস্ট আনিস আলমগীর ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘কমিশন তো একটা হতেই হয়। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে যোগ্যদের হাতেই কমিশনের দায়িত্ব পড়েছে। তারা গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবেই আমরা ধরে নিতে পারি। কিন্তু তারা কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবেন বা তারা সফল হবেন কি না তা বলার সময় এখনো আসেনি।’

এই সাংবাদিক বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে এখনো প্রায় দুই বছর বাকি। দেখতে হবে সরকার কমিশনকে সহযোগিতা করে কি না। সরকারের বা প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া কোনো কমিশনের পক্ষেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। কমিশন গঠন করলেই সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা থাকে না। সরকার তাদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে দেবে কি না বা যারা দায়িত্ব পেয়েছেন তাদের মেরুদণ্ড কেমন সেটাও দেখতে হবে।’

নতুন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। অন্য চার কমিশনার হচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান।

এসএ/জেবি

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর