ক্রেন থেকে প্রাইভেটকারের ওপর গার্ডার পড়ে উত্তরায় পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা দেখছেন না বিআরটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিকুল ইসলাম।
সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে দুর্ঘটনার পর গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, এটা যান্ত্রিক সমস্যা। নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়।
বিজ্ঞাপন
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের গার্ডারটি ক্রেনে করে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নেওয়ার সময় সম্ভবত ক্রেন কাত হয়ে নিচে পড়ে যায়।’
তবে ঘটনার জন্য কে দায়ী এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি না জেনে কিছু বলতে পারব না। ক্রেন কাত হয়ে গেছে- এটা যান্ত্রিক সমস্যা। এটা নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। এ বিষয়ে আমরা বিস্তারিত না জেনে কিছু বলতে পারব না।’
এর আগে একই দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উত্তরায় ক্রেন দিয়ে বিআরটির গার্ডার তোলার সময় সেটি ছুটে গিয়ে একটি প্রাইভেটকারের ওপর আছড়ে পড়ে। এতে দুই শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়। সেই সঙ্গে দুজন গুরুতর আহত হন।
বিজ্ঞাপন
ওই দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- রুবেল (৫০), ঝর্ণা (২৮), জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। তবে নিহত অপর একজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এছাড়া আহত দুজন হলেন- নবদম্পতি হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১)।
দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি মো. মহসিন জানান, বিআরটি’র গার্ডার চাপায় প্রাইভেটকারে থাকা শিশুসহ পাঁচজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে।
এদিকে, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন- বিকেলে বিআরটি প্রকল্পের জন্য নির্মিত গার্ডার একটি ক্রেন দিয়ে সরানো হচ্ছিল। ওই সময় গার্ডারটি হঠাৎ করেই রাস্তায় চলমান প্রাইভেট কারের ওপর পড়ে যায়। গার্ডারটি ক্রেন থেকে ছুটে যায়নি, বরং ক্রেনের একপাশ উল্টে যায়। ধারণা করা হচ্ছে- ক্রেনটির ধারণক্ষমতা কম ছিল কিংবা চালক ভুলভাবে সেটি অপারেট করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুলাই গাজীপুরে একই প্রকল্পের ‘লঞ্চিং গার্ডার’ চাপায় এক নিরাপত্তারক্ষী নিহত হন। ওই দুর্ঘটনায় এক শ্রমিক ছাড়াও আরও একজন পথচারী আহত হয়েছিলেন।
বিইউ/আইএইচ
